এই অতিমারির আদৌ কি কোনও শেষ আছে? ছবি: সংগৃহীত
গোটা দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। রাজ্য এবং কলকাতার দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। অতিমারির প্রথম ধাপে মানুষের কাছে করোনা ছিল একেবারে নতুন একটি আতঙ্ক। সেই সময় মানুষ অসহায়, অবদমিত হয়ে পড়েছিলেন। চিকিৎসকরাও করোনার চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে প্রাথমিক ভাবে দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন। তারপর একটি ভয়ঙ্কর লকডাউনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে দেশ। সেই প্রথম ধাপ পেরিয়ে করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করে দ্বিতীয় পর্যায়ে। এবং তখন থেকেই আগাম পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছিল এই পর্যায়ের করোনা-স্ফীতির। এই অতিমারির আদৌ কি কোনও শেষ আছে? আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক এবং ইউটিউব লাইভের ‘ভরসা থাকুক’অনুষ্ঠানে এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন আমেরিকার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিমারি গবেষক ভ্রমর মুখোপাধ্যায়।
ভ্রমর বললেন, ‘‘এই ভাইরাস এখন আমাদেরকে ক্লান্ত করে দিচ্ছে। আমরা বড় ক্লান্ত, বড় শ্রান্ত হয়ে পড়ছি। বিশেষ করে ওমিক্রন। আগের দুটি পর্যায় পেরিয়ে এসে এবং টিকাকরণের পরেও দেখছি যে দৈনিক সংক্রমণের হার অনেক বেশি।’’
তাহলে টিকাকরণ কি ব্যর্থ? ভ্রমরের উত্তর, ‘‘আগের দুটি পর্যায়ের তুলনায় শারীরিক উপসর্গের সক্রিয়তা এ বারে অনেক কম। তবুও এটা হতাশা ব্যাঞ্জক যে আমরা আবার অসুস্থ হয়ে পড়ছি। তবে আমার মনে হয় অতিমারির শেষ আছে। আমরা যদি একটু সতর্ক থাকতে পারি এ বারেও দ্রুত এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারব।’’
মহানগরীতে সংক্রমণের শেষ পর্যায় কি এটাই?
ভ্রমর বললেন, ‘‘এটা তো নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না। তবে অতিমারির মডেল বলছে জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে কলকাতা সহ দিল্লি, মহারাষ্ট্র অর্থাৎ যে শহরগুলিতে করোনা সংক্রমণ এই মুহূর্তে ঊর্ধ্বমুখী সেই জায়গাগুলিতে ধীরে ধীরে নেমে আসবে। তবে গোটা ভারতবর্ষে ফেব্রুয়ারির শুরুতে কমতে থাকবে সংক্রমণের হার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy