ব্যথানাশক ওষুধের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, তার চেয়ে নিয়ম মানুন। ছবি: ফ্রিপিক।
মুঠো মুঠো ওষুধেই যে মাইগ্রেন সারবে তা একেবারেই নয়। বরং এমন কিছু দামি ওষুধ বাজারে আছে যা ব্যথা তো সারাতে পারেই না, উল্টে বিভিন্ন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণ হয়ে উঠছে। ‘বিএমজে’ বিজ্ঞানপত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। গবেষকদের বক্তব্য, চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে নিজে থেকে ওষুধ কিনে খেলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা ব্যথা শুরু হলেই দোকান থেকে ব্যথানাশক ওষুধ কিনে খেয়ে ফেলেন। ওষুধের ডোজ় কী, কখন খেতে হবে তা না জেনেই। ওষুধ না খেয়ে বরং নিয়ম মেনে চলারই পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিজ্ঞানীও আছেন এই গবেষণায়। তাঁরা দাবি করেছেন, ব্যথানাশক সব ওষুধ নিরাপদ ও সুরক্ষিত নয়। বেশি ডোজ়ে খেয়ে ফেললে নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
মাইগ্রেন হল ‘নিউরোলজিক্যাল’ রোগ। চিকিৎসকেরা বলেন, মাথার এক দিকেই ব্যথা হয় বেশি। সারা ক্ষণ দপদপ করতে থাকে। সাধারণত ৪৮ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা অবধি ব্যথা থাকতে পারে। মাইগ্রেনের ব্যথার অনেক রকম লক্ষণ আছে। সকলের ক্ষেত্রে তা সমান নয়। কাজেই একই ওষুধ সকলের ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে তা না-ও হতে পারে। তার চেয়ে কিছু নিয়ম মানলেই ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
কী কী সেই নিয়ম? একটি ভিজে তোয়ালে মিনিট পনেরোর জন্য ফ্রিজে রাখুন। ব্যথা শুরু হলেই ওই ঠান্ডা তোয়ালে মাথায় ও চোখের উপর রেখে দিন। ব্যথা অনেক কমে যাবে।
চন্দন জল দিয়ে গুলে ব্যথার জায়গায় লাগালেও আরাম পাওয়া যাবে। চন্দন খুব ঠান্ডা। এই মিশ্রণের প্রলেপ লাগালে যন্ত্রণা অনেক কমে যাবে।
মোবাইল, টিভির পর্দায় চোখ রাখা চলবে না। চোখকে বিশ্রাম দিতে হবে। কম্পিউটারের সামনে বসে দীর্ঘ ক্ষণ কাজ করার অভ্যাস থাকলে মাঝে মাঝেই উঠুন। চোখে জল দিন।
মাইগ্রেন শুরু হলে বমি বমি ভাব আসে, শরীরে অস্বস্তি শুরু হয়। এই সমস্যা দূর করতে আদা চায়ে চুমুক দিতে পারেন। আদার অ্যান্টি-ইমফ্ল্যামেটরি গুণ আছে। প্রদাহ কমিয়ে ব্যথা সারাতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy