অনেক সময়ে এই ধরনের হার্ট অ্যাটাকে সে ভাবে কোনও ব্যথাও অনুভব করেন না রোগী। ছবি: সংগৃহীত
যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ বা রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি কিংবা যাঁদের স্থূলতার সমস্যা রয়েছে, তাঁদের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। হার্ট অ্যাটাক যে কোনও বয়সে, যে কোনও সময়ে হতে পারে। কারও হার্ট অ্যাটাক হলে প্রতি সেকেন্ডই সে সময়ে গুরুত্বপূর্ণ। যত দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়, ততই মঙ্গল।
চিকিৎসকরা কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের আর একটি ধরন নিয়েও সাবধান বার বার সতর্ক করছেন। তাঁদের মতে, হার্ট অ্যাটাক সব সময়ে যে হঠাৎ হবে, এমনটা নয়। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক’-এরও শিকার হন অনেকে। এই প্রকারের অ্যাটাকে সব রকম উপসর্গ দীর্ঘ সময় ধরে আসে। এই উপসর্গগুলি আমরা অনেক ক্ষেত্রেই অন্য রোগের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলি। অনেক সময়ে এই ধরনের হার্ট অ্যাটাকে সে ভাবে কোনও ব্যথাও অনুভব করেন না রোগী। কিন্তু ভিতরে ভিতরে ঘটে যায় হার্ট অ্যাটাক।
এমন হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ কী?
হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত, পুরুষদের তুলনায় মহিলারাই এই ধরনের রোগের শিকার হন বেশি। এই ধরনের হার্ট অ্যাটাকে বুকে চাপ, ব্যথা, এগুলি মাঝেমাঝে আসে। আবার সেরেও যায়। আমরা ভেবে বসি হজমের সমস্যা। কিন্তু মাঝেমাঝে বুকে চিনচিনে ব্যথা সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ।
চিকিৎসকদের মতে, বুকের বাঁ দিকে ব্যথা তো বটেই, অনেক সময়ে গোটা বুক জুড়েই চাপ ও অস্বস্তি অনুভব করেন রোগী। অনেক সময়ে বুকের পেশিতেও টান পড়ে, সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা যায়। খুব অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, সামান্য শারীরিক কাজেই হাঁপাতে দেখা যায়। এমনকি, এক জায়গায় বসে থেকেও ক্লান্তি আসতে পারে এমন অবস্থায়।
হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে কেবল বুকের সম্পর্ক আছে, এমন ধারণা ভুল। হাত, ঘাড়, কাঁধে ব্যথা হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। পেট, এমনকি, চোয়ালে ব্যথা হলেও অবহেলা করবেন না। এই অস্বস্তিগুলির মুখোমুখি হলেই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিয়মিত স্বাস্থ্য সচেতন থাকুন। নিয়ম করে শারীরিক কসরত ও ডায়েটের মধ্যে থেকে সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy