প্রতীকী ছবি।
ইদানীং সারা দেশ জুড়ে কোরিয়ার সংস্কৃতি, ফ্যাশন, সিনেমা, নাটক এবং গানের কদর বেশ চোখে পড়ছে! বাড়ছে কোরিয়াবাসীদের ডায়েট মেনে চলার প্রবণতাও। তাঁদের জীবনযাত্রা কিন্তু ভীষণ রকম নিয়মানুবর্তিতায় মোড়া। স্বাস্থ্যের সঙ্গে কোনও রকম আপস করতে নারাজ তাঁরা। এই কারণেই বয়স বাড়লেও তাঁদের ত্বকে তার কোনও ছাপ পড়ে না। সেই সঙ্গে তাঁরা দীর্ঘায়ুও হন। আট হোক কিংবা ৮০, সে দেশের বেশির ভাগ নাগরিকই সুঠাম শরীরের অধিকারী। জানেন কি তাঁদের সুস্বাস্থ্যের রহস্য কী?
সুষম আহার
এমন কিছুই নেই যা কোরিয়ার মানুষ খান না। প্রোটিন থেকে শুরু করে কার্বহাইড্রেট, এমনকি, ফ্যাটও বাদ থাকে না। তবে প্রত্যেকটির মাত্রা হবে ভারসাম্য মেনে। এর পাশাপাশি তাঁরা খাবারের পরিমাণ সম্পর্কেও বেশ সচেতন থাকেন। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার তাঁরা খান না এবং প্রতিদিন শরীরচর্চাও করেন।
সব্জির গুণেই ভরসা
কোরিয়ার মানুষ সব্জি খেতে বড়ই ভালোবাসেন। এটিই তাঁদের সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। অধিকাংশ সব্জিই ফাইবার সমৃদ্ধ। এতে ক্যালোরির পরিমাণ কম। যা ওজন কম করতে সাহায্য করে। ফাইবার অনেক ক্ষণ পেট ভরা রাখে। তাই উচ্চ ক্যালোরির খাবারের দিকে খুব বেশি নজর দেন না তাঁরা।
ফাস্টফুড নয়, বাড়িতে তৈরি খাবারই প্রিয়
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বাড়িতে তৈরি খাবারের কোনও বিকল্প নেই। প্রক্রিয়াজাত, অস্বাস্থ্যকর, ফাস্টফুড শুধু ওজনই বৃদ্ধি করবে না, বরং পাশাপাশি রোগ-ব্যাধির সম্ভাবনাও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই স্বাস্থ্যকর খাবারেই ভরসা রাখেন কোরিয়াবাসী। মিষ্টি খাবার খুব বেশি থাকে না তাঁদের ডায়েটে। মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে এক বাটি ফল কিংবা ফলের রস খান তাঁরা। সুতরাং সুস্বাস্থ্য চাইলে জিভে লাগাম আনতেই হবে।
হাঁটা-চলায় অনেকটা সময় ব্যয়
কোথাও যেতে গেলে বাস কিংবা গাড়ির পরিবর্তে হাঁটতে অনেক বেশি পছন্দ করেন কোরিয়ার মানুষ। এই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তাঁদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ সাহায্য করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ও সামগ্রিক সুস্বাস্থ্যের জন্য শারীরিক ক্রিয়াকলাপ অত্যন্ত জরুরি। সারা দিনেই যতই কাজ থাকুক না কেন, নিয়মিত ৪০ থেকে ৫০ মিনিট হাঁটাচলা খুবই দরকার। ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে আর শরীরে রোগ-ব্যাধিও বাসা বাঁধবে না।
চা খাওয়ার অভ্যাস
সোডা জাতীয় পানীয় নয়, কোরিয়ার মানুষ বিভিন্ন রকম চা খেতে বেশ পছন্দ করেন। কোরিয়ার খাবারের সঙ্গেই চা পরিবেশন করা হয়। এই চায়ের স্বাদ অবশ্য আমাদের রোজকার চায়ের চেয়ে অনেক আলাদা। বার্লি টি কোরিয়ায় বেশ জনপ্রিয়। এই চায়ে ক্যালোরির মাত্রা কম এবং খাওয়ার পরই শরীর বেশ খানিকটা স্ফূর্তি পায়। আমাদের দেশেও কিন্তু বিভিন্ন ধরনের আয়ুর্বেদিক চা পাওয়া যায়। সাধারণ দুধ-চিনি দিয়ে চা খাওয়ার পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর ভেষজ চা পানের অভ্যাস করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy