বাঙালি সাদা ভাত খেয়েই অভ্যস্ত। ঝাল-ঝোল-অম্বল যা কিছু হোক, ভাতের সঙ্গে মেখে না খেলে ঠিক তৃপ্তি হয় না। ওজন কমাতে এখন নানা রকম ডায়েট করার চল হয়েছে। তবে এক বেলা ভাত না হলে ঠিক চলে না। বিশেষ করে রবিবারের দুপুরের মাংস-ভাতের বিকল্প খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর। সে যাই হোক, ওজন ধরে রাখতে এখন অনেকেই সাদা ভাতের বিকল্প হিসেবে বাদামি চালের ভাত বা ব্রাউন রাইস বেছে নিচ্ছেন। ফাইবারে ভরপুর ব্রাউন রাইস খেলে ক্যালোরি বাড়বে না, এমনটাই মত অনেক পুষ্টিবিদেরও। তবে ব্রাউন রাইস যে খাচ্ছেন, তা আদৌ সুরক্ষিত তো?
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়েছেন। তাঁরা দাবি করেছেন, ব্রাউন রাইসে অনেক বেশি পরিমাণে আর্সেনিক থাকে যা শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়। বিশেষ করে শিশুদের জন্য একদমই ঠিক নয়। ‘রিস্ক অ্যানালাইসিস’ জার্নালে এই বিষয়ে গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, আমেরিকার অনেক জায়গায় নামী ব্র্যান্ডের ব্রাউন রাইসেও আর্সেনিক পাওয়া গিয়েছে। পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে, কোনও কোনও ব্র্যান্ডের ব্রাউন রাইসে ৪৫ শতাংশ অবধি অজৈব আর্সেনিক মিশে আছে। এই ধরনের রাসায়নিক সাধারণত অপরিষ্কার ও দূষিত জলে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, সব ব্র্যান্ডের ব্রাউন রাইসেই যে ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকবে তা নয়, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রাসায়নিকের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এমন চালের ভাত বেশি পরিমাণে দীর্ঘ সময় ধরে খেতে থাকলে হার্ট, লিভার, ফুসফুস ও কিডনির ক্ষতি হতে পারে। রক্তচাপের হেরফের হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। ছোটরা খেলে তাদের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হবে। ক্ষতি হবে ত্বক ও স্নায়ুতন্ত্রেরও। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমতে থাকবে ধীরে ধীরে। সংক্রমণজনিত নানা রোগ বাসা বাঁধবে শরীরে।
ব্রাউন রাইস কেনার সময়ে তার উপাদানগুলি আগে দেখে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকেরা। আর খেতে হলে খুব কম পরিমাণেই খেতে হবে। শিশুদের ব্রাউন রাইসের বদলে ওট্স, কিনোয়া খাওয়াতে পারেন।