কত জোরে, কী ভাবে হাঁটলে ওজন দ্রুত কমবে? ছবি: সংগৃহীত।
ওজন কমাতে সহজ শরীরচর্চা হিসাবে হাঁটাহাটির বিকল্প নেই। হাঁটলে সমগ্র শরীরের ব্যয়াম হয়। খোলা হাওয়ায় মন ভাল হয়ে যায়। পায়ের পেশি মজবুত হয়, হৃদ্যন্ত্র ভাল থাকে। ভাল থাকে শরীর। কিন্তু ঠিক কী ভাবে হাঁটলে, কতটা হাঁটলে উপকার বেশি? ওজন কমাতে হাঁটছেন নিয়মিত। স্বাভাবিক ভাবেই হাঁটলে কাজ হবে, না কি খানিক দৌড়নোও প্রয়োজন। হাঁটারও কিন্তু রকমভেদ হয়। শরীরচর্চার লক্ষ্য ঠিক করে, বুঝে নিতে হবে কোন পদ্ধতির হাঁটায় আপনার লাভ।
‘পাওয়ার ওয়াকিং’
হাঁটার গতি ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার হলে তাকে ‘পাওয়ার ওয়াকিং’ বলা হয়। এই ধরনের হাঁটায় হৃদ্যন্ত্রের গতি বেড়ে যায়, ক্যালোরিও দ্রুত ক্ষয় হয়। তবে উপকার বেশি পেতে, হাঁটার সঙ্গে হাতও চালনা করতে হবে।
‘ইন্টারভ্যাল ওয়াকিং’
এই ধরনের হাঁটায় দ্রুত ও শ্লথ গতির মধ্যে সামঞ্জস্য আনার চেষ্টা করা হয়। যেমন ২ মিনিট দ্রুত হাঁটার পর, ১ মিনিট গতি কমিয়ে নিতে হবে। আবার দ্রুত গতিতে হাঁটতে হবে। এভাবে নির্দিষ্ট সময় অন্তর এক বার দ্রুত ও একবার ধীরে হাঁটলে দ্রুত ওজন কমতে পারে।
পাহাড়ে হাঁটা
পাহাড় বা চড়াই পথে হাঁটলে সমতলে হাঁটার চেয়ে অনেক বেশি পরিশ্রম হয়। পেশিতেও বেশি চাপ পড়ে। ফলে দ্রুত ক্যালোরি ক্ষয় হয়। চড়াই রাস্তায় হাঁটলে পেশি মজবুত হয়।
ওজন নিয়ে হাঁটা
সাধারণ হাঁটা আর ওজন নিয়ে হাঁটার মধ্যেও তফাত হয়। সাধারণত, পেশির সুন্দর গঠনের জন্য ওজন নিয়ে শরীরচর্চা করা হয়। তবে কেউ যদি ওজন নিয়ে হাঁটেন তবে শক্তি ক্ষয় দ্রুত হয়, পরিশ্রম বেশি হয়। বাজার থেকে জিনিস নিয়ে ফেরার সময় এমনিতেই এই ধরনের ব্যায়াম হয়ে যায়। তবে খেয়াল রাখা দরকার দুই হাতে যেন মোটামুটি একই ওজনের জিনিস থাকে।
দ্রুত হাঁটা
ট্রেডমিলে দ্রুত গতিতে হাঁটেন অনেক। স্বাভাবিক গতিতে হাঁটার চেয়ে অনেক বেশি বেগে অথচ দৌড়নোর থেকে কম হয় এই হাঁটা। এই গতিতে হাঁটলে শক্তিক্ষয় বেশি হবে। স্বাভাবিক গতিতে হাঁটার চেয়ে এ ভাবে হাঁটলে অন্তত ৩০ শতাংশ বেশি ক্যালোরি ঝরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy