ডায়েটের ফলে দ্রুত ওজন ঝরে এ কথা ঠিক, তবে সেই ওজন দীর্ঘ দিন ধরে রাখা যায় না।
ওজন বেড়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। অতিরিক্ত ওজন ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ এমনকি ক্যানসারের মতো বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই সুস্থ থাকতে নিজের বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলুন শুরুতেই।
ওজন ঝরানোর প্রসঙ্গ এলেই অনেকেই মনে করেন খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিলেই পাওয়া যাবে সুন্দর ছিপছিপে চেহারা। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই শুরু করে দেন নানা ধরনের ডায়েট। আদৌ সেই ডায়েট প্ল্যান আপনার শরীরের পক্ষে উপযোগী? যে কোনও ডায়েট সঠিক পদ্ধতিতে না মেনে চললে শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। শুধু ডায়েটের ভরসায় ওজন কমানো কখনই সম্ভব নয়। ডায়েটের ফলে দ্রুত ওজন ঝরে এ কথা ঠিক, তবে সেই ওজন দীর্ঘ দিন ধরে রাখা যায় না।
তাই উপোস করে কিংবা পছন্দের খাবার ছেড়ে দিয়ে ডায়েট করার পরিবর্তে জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তন আনলেই পেয়ে যাবেন মনের মতো ফল।
কী করলে ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে?
নিয়মিত শরীরচর্চা ও হাঁটাহাটি
ওজন কমাতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। ব্যায়াম ছাড়াও যোগাভ্যাস করলেও কমতে পারে আপনার ওজন। যোগাভ্যাস মন ও শরীর দুই-ই ভাল রাখে। তবে সঠিক পদ্ধতি শিখতে হবে। একান্তই শরীরচর্চা না করতে পারলে, রোজ নিয়ম করে হাঁটাহাটি করুন। এতেই শরীরের নানান রোগ ব্যাধি দূর হবে। ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
পর্যাপ্ত ঘুম
অনেকের ধারণা ঘুমালে নাকি ওজন বাড়ে। কিন্তু সুস্থ থাকতে হলে আপনার পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। রাতে বেশি ক্ষণ জেগে মোবাইল ঘাটার পরিবর্তে সময় মতো ঘুমিয়ে পড়ুন। তবে খাওয়াদাওয়া শেষ করেই শুয়ে পড়বেন না। রাতে খাওয়ার দু’ থেকে তিন ঘণ্টা পর ঘুমান। এতে ওজন বাড়ার ঝুঁকি কম।
খাবার চিবিয়ে খান
দীর্ঘ ক্ষণ চিবিয়ে খাবার খেলে কম ক্যালোরি গ্রহণ করা হয়। এই অভ্যাস কেবল হজম প্রক্রিয়া ভাল করতেই সাহায্য করে না, এতে খাওয়ার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ফলে ওজন কমে। খাবার ভাল করে না চিবিয়ে কেবল গিলে নিলে অজান্তেই অনেকটা বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলি আমরা। এতে ওজনের উপর প্রভাব পড়ে। হজমের সমস্যা, গ্যাসের সমস্যাও দেখা যায়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন
ওজন বাড়ার আরও একটি বড় কারণ হল প্রক্রিয়াজাত খাবার। এই খাবারগুলিতে চিনি, লবণ ও তেল অত্যন্ত বেশি পরিমাণে থাকে। পাশাপাশি খাবারগুলিকে মুখরোচক করার জন্য এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারের উপযোগী করার জন্য বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। যা স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভাল নয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই সব খাবারের পরিবর্তে বাড়িতে বানানো খাবারের উপরেই ভরসা রাখুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy