চেয়ারে বসে বসেই বাড়ছে বিপদ! ছবি: শাটারস্টক।
অফিসে কর্মরত কর্মচারীদের দিনের বেশির ভাগ সময়টাই কাটে অফিসে। সময় মতো অফিসে ঢুকলেও বেরোনোর সময়ের কোনও ঠিক থাকে না। সারা দিন এক ভাবে চেয়ারে বসে থাকা ছাড়া উপায় নেই। হয় চাকা লাগানো আরামদায়ক চেয়ার, নয় তো কাঠের। মোট কথা, পিঠ টান করে বা ল্যাপটপের দিকে ঝুঁকে সারাটা দিন কাজ সারতে হয়। আর তার হাত ধরেই পিঠে ব্যথা-বেদনার শুরু। আসলে সারা দিনের ব্যস্ততায় পিঠ বা মেরুদণ্ডকে সুস্থ রাখার জন্য যে যে ব্যায়াম বা শরীরচর্চা প্রয়োজন সময়ের অভাবে অনেতেই সে সব করে উঠতে পারেন না। ফলত সারা দিন চেয়ারে বসার অভ্যাস ডেকে আনছে নানা অসুখ।
পিঠে যে সব পেশি, লিগামেন্ট থাকে সে সবে তো বটেই, সঙ্গে শিড়দাঁড়ার নানা সমস্যা ডেকে আনে এই স্বভাব। অনেকে আবার তার উপর আর্থ্রাইটিসে ভোগেন, কারও বা লাম্বার-কক্সিসের সংযোগস্থলে এমনিই নানা অসুবিধা থাকে। এ সব থাকলে দীর্ঘ সময় চেয়ারে বসা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে। এই ব্যথা দূর করতে হলে শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। তবে কেবল শরীরচর্চা করলেই হল না, অফিসেও থাকতে হবে সক্রিয়। কাজের ক্ষতি না করেই কী ভাবে সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন, রইল হদিস।
১. টিফিন ব্রেককে কাজে লাগান। অনেকের অভ্যাস থাকে ডেস্কে বসেই টিফিন খাওয়ার। তবে এই অভ্যাসের কারণে আপনার আর চেয়ার থেকে আরও ওঠা হয় না। চেষ্টা করুন অফিস ক্যান্টিনে গিয়ে খাবার খাওয়ার। তা হলে অন্তত হাঁটাচলা করার সুযোগ পাবেন। খাওয়াদাওয়া শেষে অফিসের মধ্যেই মিনিট দশেক হাঁটাহাঁটি করুন।
২. অফিসের ‘কনফারেন্স কল’ হোক কিংবা বাড়ি থেকে আসা কোনও ফোন, ডেস্কে বসে না ধরে হাঁটতে হাঁটতে ফোনে কথা বলার অভ্যাস করুন। ধরুন মিনিট ১৫ ধরে আপনি ফোনে কথা বলছেন, আপনি বুঝতেও পারবেন না, যে কখন আপনি ১৫ মিনিট হেঁটে ফেলেছেন।
৩. অফিসের লিফ্ট ব্যবহার না করে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। সিঁড়ি ওঠানামা করা কিন্তু খুব ভাল শরীরচর্চা। দিনে আলাদা করে ব্যায়াম করার সময় না পেলে অন্তত সিঁড়ি ওঠানামার অভ্যাসটা নিয়মিত করতেই পারে। পিঠের ব্যথা থেকে খানিকটা হলেও রেহাই পাবেন।
৪. অনেক সময় আমরা অফিসে বসেই সহকর্মীর সঙ্গে মেসেজে কথা বলি। মেসেজে কথা না বলে সেই সহকর্মীর ডেস্কে গিয়ে কথা বলে আসতে পারেন। এর ফলে মাঝেমধ্যেই আপনাকে নিজের ডেস্ক ছেড়ে উঠতে হবে।
৫. অফিসে আসা যাওয়ার পথে কিছুটা পথ হেঁটে অতিক্রম করতে পারেন। সহকর্মীরা মিলে একসঙ্গে হাঁটলে অনেকটা দূরত্বও অল্প মনে হবে। এই অভ্যাসটি নিয়মিত করতে পারলে আপনাকে আর সকালে কিংবা বিকেলে হাঁটার জন্য আলাদা করে সময় বার করতে হবে না।
এই সব উপায় মেনে চলার পাশাপাশি পিঠের ব্যথা বাড়লে কিন্তু তা ফেলে না রেখে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। আর রোজ নিয়ম করে যোগাসন করার জন্য একটু সময় বরাদ্দ রাখুন। তবে প্রশিক্ষকের নজরদারিতেই যোগব্যায়াম করতে হবে, নইলে যন্ত্রণা বেড়ে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy