বয়স বাড়লে শরীরচর্চার প্রতি অনীহা আসে, তাই ওজন বেড়ে যেতে বেশি সময় লাগে না। ছবি: শাটারস্টক।
একটি বয়সের পর বিপাকহার তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই কমে যায়। তাই ঝট করে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। ওজন বেশি হয়ে গেলে শরীরের অনেক অঙ্গের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। গাঁটে ব্যথাও হতে পারে। হৃদ্রোগ এবং কিডনির সমস্যার প্রবণতা তৈরি হতে পারে। তাই বয়স ৫০ পেরিয়ে গেলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
বয়স বাড়লে শরীরচর্চার প্রতি অনীহা আসে। তাই ওজন বেড়ে যেতে বেশি সময় লাগে না। অথচ ওজনই আদতে সব রোগের মূলে। তাই এই বয়সে ওজনকে বাগে আনতে খাওয়াদাওয়ায় নজর দিতে হবে। কী কী খাওয়া যাবে না, সেই বিষয়ে ধারণা থাকলেও কোন কোন খাবার খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তা জানেন না অনেকেই ।
এই পুরুষ ও মহিলা নির্বিশেষে কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো নানা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হন। এই বয়সে বেশি করে সবুজ শাকসব্জি, ফলমূল খাওয়ার দিকে নজর দিন। নুন ও চিনি একেবারেই বাদ দিন রোজের খাদ্যতালিকা থেকে। আর কী কী রাখবেন খাবারের তালিকায়?
ওমেগা-থ্রি সমৃদ্ধ খাবার: পেটের অতিরিক্ত মেদ ও চর্বি কমাতে ওমেগা-৩ জাতীয় খাবার বেশ উপকারী। সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ পাওয়া যায়। এ ছাড়াও আখরোট, চিয়া বীজ, সয়াবিন, সয়াবিন তেলে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ পাওয়া যায়।
প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার: প্রোটিন শরীরের পেশি মজবুত করে। অতিরিক্ত চর্বি কমাতেও প্রোটিন অত্যন্ত সহায়ক। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারে থাকা উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচক দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। দুগ্ধজাত খাবার, ডিম এবং ফল, সবুজ শাকসব্জির মতো খাবারে ভরপুর প্রোটিন থাকে। তাই ডায়েটে কার্বজাতীয় খাবার কমিয়ে বেশি করে প্রোটিন রাখুন।
ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার: বিপাকক্রিয়ায় ব্যাপক ভাবে সাহায্য করে। হজমশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি ফাইবার ওজন কমাতে, কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। বিন্স, বিভিন্ন শস্য, ব্রাউন রাইস, বেরি জাতীয় ফল ও বাদামে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy