সেহরিতে ভাজাভুজির পরিবর্তে ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াই ভাল। ছবি: সংগৃহীত
চলছে রমজান মাস। সারা দিন রোজা রাখার পর সবাই অপেক্ষা করে থাকেন ইফতারের মুখোরচক খাবারের জন্য। এই সময় অজান্তেই অনেকে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেয়ে ফেলেন। পুষ্টিবিদদের মতে, ইফতারের সময় ভাজাভুজি, তেলমশলাদার কিংবা ফ্যাটজাতীয় খাবার যত কম খাওয়া যায় ততই ভাল। এই অভ্যাসের কারণে রমজানের পর অনেকেই ওজন বাড়িয়ে ফেলেন। তবে রোজা রাখার সময়ে কিছু নিয়ম মেনে চললেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব!
রোজা রাখার সময় কোন বিষয়গুলি মেনে চললে ওজন বাড়বে না?
১) পরিমিত চিনি খাওয়ার অভ্যাস: রমজান মানেই বাড়িতে মিষ্টিজাতীয় হরেক পদ তৈরি হবেই। সারা দিন উপোস করে শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে। ইফতারের সময় মিষ্টি খেলে শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে, কর্মদক্ষতা বেড়ে যায়। তবে মিষ্টিজাতীয় খাবারে ক্যালোরির মাত্রা অনেকটা বেশি থাকে। তাই অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই পরিমিত মিষ্টি খাওয়াই শ্রেয়। একান্তই মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে হলে বিভিন্ন রকম ফল, খেজুর কিংবা কৃত্রিম চিনি দিয়ে মিষ্টি তৈরি করে খেতে পারেন।
২) সেহরির সময় না খেয়ে থাকবেন না: সেহরির খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেহরিতে কী খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করেই কিন্তু আপনাকে সারা দিন রোজা রাখতে হয়। সেহরিতে ভাজাভুজির পরিবর্তে ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াই ভাল। এতে দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনার পেট ভরা থাকবে আর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ভুলেও কখনও সেহরির খাবার এড়িয়ে যাবেন না।
৩) তাড়াহুড়ো করে খাবেন না: রোজা ভাঙার সময়ে খুব বেশি তাড়াহুড়ো করে খাবেন না। খাবার উপভোগ করে ভাল করে চিবিয়ে খান। তাড়াহুড়ো করে খাবার খেলে মস্তিষ্ক বুঝে উঠতে পারে না কখন আপনার পেট সম্পূর্ণ ভাবে ভর্তি হচ্ছে। তার ফলে অনেকেই প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি খেয়ে ফেলেন। ফলস্বরূপ ওজন বাড়তে বাধ্য। তা ছাড়া ভাল করে চিবিয়ে খেলে হজমও ভাল হয়, ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪) একসকঙ্গে অনেকটা খাবার খাবেন না: অনেকেই আছেন যাঁরা ইফতারের সময় পেট ভর্তি করে খেয়ে ফেলেন আর রাতের খাবার এড়িয়ে চলেন। এমনটা কখনই করা উচিত নয়। ইফতারের পর কিছু ক্ষণ অন্তর অন্তর খাওয়ার অভ্যাস করুন। রাতের খাবারে যাতে কার্বহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাটের সঠিক ভারসাম্য থাকে সে দিকে নজর দিন।
৫) শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেবেন না: গরমের সময়ে এমনিতেই শরীরে জলের ঘাটতি হয়। তার উপর রোজা রাখলে দিনের অনেকটা সময় জল খাওয়া যায় না। তাই উপোস ভাঙ্গার পর দু’-তিন লিটার জল খেতেই হবে। জলের পাশাপাশি বিভিন্ন রকম ফলের রসও খেতে পারেন। শরীরের ভিতরে জমে থাকা টক্সিন পদার্থগুলি বার করে শরীর সুস্থ রাখতে পরিমিত মাত্রায় জল খেতেই হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy