Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Bad Breath

মুখের দুর্গন্ধে প্রিয়জনকে কাছে টানতে সঙ্কোচ হয়? ৫ টোটকায় মুক্তি পান মুখের গন্ধ থেকে

মুখের বাজে গন্ধকে বিজ্ঞানের ভাষায় ‘হ্যালিটোসিস’ বলে। এর থেকে নিষ্কৃতি পেতে কিছু জিনিস নিয়ম করে মেনে চলা দরকার।

মুখের বাজে গন্ধ থেকে নিষ্কৃতি পেতে কিছু জিনিস নিয়ম করে মেনে চলা দরকার।

মুখের বাজে গন্ধ থেকে নিষ্কৃতি পেতে কিছু জিনিস নিয়ম করে মেনে চলা দরকার। প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:২৭
Share: Save:

নিশ্বাস থেকে দুর্গন্ধ বেরোলে সামনের মানুষটির কাছে গিয়ে কথা বলতেও কুণ্ঠা বোধ হয়। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে সব রং হয়ে যেতে পারে বিবর্ণ। মুখের বাজে গন্ধকে বিজ্ঞানের ভাষায় ‘হ্যালিটোসিস’ বলে। বিশ্বের প্রায় ৮ কোটি মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন। এর থেকে নিষ্কৃতি পেতে কিছু জিনিস নিয়ম করে মেনে চলা দরকার।

১। দিনে দু’বার দাঁত মাজুন:সকালে দাঁত মাজা এবং জিভ পরিষ্কার করা মুখের মধ্যে জমে থাকা জীবাণু নির্মূল করতে সাহায্য করে। কিন্তু শুধু সকালেই দাঁত মাজলে হবে না, রাতে খাবার খাওয়ার পরও একই কাজ করা বাঞ্ছনীয়। এমনকি সকালে মাজার থেকেও রাতে খাওয়ার পর দাঁত মাজা বেশি জরুরি। পরিষ্কার মুখ নিয়ে ঘুমোতে গেলে রাতে জীবাণুর সংখ্যা বাড়তে পারে না। নিমের কাঠি দিয়ে দাঁতন করাও বেশ কার্যকর হতে পারে। এই পদ্ধতি প্রাচীন হলেও বেশ কার্যকর।

২। লবঙ্গ ও মৌরির বীজ খাওয়া: মৌরি বীজ পাচনে সহায়তা করে। পাশাপাশি এতে থাকে ফ্ল্যাভোনয়েড নামের একটি উপাদান, যা লালাগ্রন্থিগুলিকে উদ্দীপিত করে। পর্যাপ্ত লালা তৈরি হলে মুখ শুকিয়ে যায় না। কমে দুর্গন্ধের আশঙ্কা। আর লবঙ্গের সুগন্ধ মুখের বাজে গন্ধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

৩। খাবারের পরে কুলকুচি করা: যে কোনও খাবার খাওয়ার পরই মুখ পরিষ্কার করা উচিত। তাই খাবার খাওয়ার পর কিছু জল মুখে ভরে ২-৩ মিনিটের জন্য সজোরে কুলকুচি করতে হবে, যাতে মুখে খাদ্যকণা জমে না থাকে। গ্রিন টি দিয়েও নিয়ম করে কুলকুচি করতে পারেন। গ্রিন টি দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের মধ্যে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস হয়।

অনেক সময় মুখের দুর্গন্ধ গভীর কোনও রোগের লক্ষণও হতে পারে।

অনেক সময় মুখের দুর্গন্ধ গভীর কোনও রোগের লক্ষণও হতে পারে। প্রতীকী ছবি

৪। তামাক জাতীয় খাবার এড়ানো: ধূমপান করলে নিশ্বাসে দুর্গন্ধের সমস্যা বাড়ে। তামাক মুখের ভিতরটা শুকিয়ে দেয় এবং যার ফলে মুখ থেকে এক ধরনের গন্ধ বেরোয়, দাঁত মাজার পরেও যা থাকতে পারে। কাজেই তামাকজাত দ্রব্য এড়িয়ে চলুন।

৫। পর্যাপ্ত জলপান করা: শরীরের প্রতিটি কাজের জন্য পর্যাপ্ত জলপান করা খুবই জরুরি। মুখের স্বাস্থ্যরক্ষাও তার ব্যতিক্রম নয়।

তবে মনে রাখবেন, অনেক সময় মুখের দুর্গন্ধ গভীর কোনও রোগের লক্ষণও হতে পারে। কখনও গুরুতর মুখের অসুখ, লিভারের সমস্যা কিংবা খাদ্যনালিতে ঘটা কোনও গোলযোগ থেকেও মুখে গন্ধ হয়। তাই দীর্ঘ দিন এই সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Mouth smell Tooth Care Tips
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE