পবনমু্ক্তাসনের মতোই এই আসনের ভঙ্গিমা। যোগাসন প্রশিক্ষকেরা বলেন ‘হাঁটু থেকে বুকের ভঙ্গি’। পেটফাঁপা, গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা দূর করতে এই আসন অভ্যাস করতে বলেন প্রশিক্ষকেরা। ব্যস্ত জীবনে সময় মেনে খাওয়াদাওয়া করা সম্ভব হয় না। অফিসকর্মী এবং দিনের ১২ ঘণ্টা অন্তত বাড়ির বাইরে যাঁদের থাকতে হয়, তাঁদের অসুবিধে রয়েছেই। পেটুকদের আরও সমস্যা! দোকানের মশলাদার খাবার, অনলাইন ফুড ডেলিভারির লোভনীয় ছাড়ের মায়া চট করে কাটাতে পারেন না। ফলে খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম লেগেই থাকে। আর সে কারণেই পেটফাঁপা, অম্বল, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা বাড়ে। আর অম্বল মানেই হাতের কাছে যে কোনও অ্যান্টাসিড পেলেই তা খেয়ে ফেলা। এই করে সমস্যা আরও বাড়ছে।
আপনাসন যোগব্যায়ামের এমন এক পদ্ধতি যা পেটের সমস্যা দূর করতে পারে। এই আসন নিয়ম করে অভ্যাস করতে পারলে লিভারের রোগও ধারেকাছে ঘেঁষবে না। সারা দিনে মাত্র ১০ মিনিট সময় বার করে এই আসন অভ্যাস করলে ভাল ফল পেতে পারেন।
আপনাসন করার পদ্ধতি
১) প্রথমে টানটান হয়ে শুয়ে পড়ুন।
২) শ্বাস টেনে দুই হাঁটু বুকে কাছে নিয়ে আসুন।
৩) দুই পা জোড়াই থাকবে। এ বার হাঁটু টেনে বুকের কাছে চেপে ধরুন।
৪) দুই হাত দিয়ে দুই পায়ের হাঁটু এমন ভাবে ধরে রাখতে হবে যাতে পেটে চাপ পড়ে।
৫) এ বার ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আগের অবস্থায় ফিরে যান।
৬) ৫-১০ বার করে রোজ এই আসন অভ্যাস করুন।
আরও পড়ুন:
কেন করবেন?
· ‘ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম’ থাকলে, সেই সমস্যা দূর হবে।
· গ্যাস-অম্বল, বদহজমের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
· অ্যাসিড রিফ্লাক্স ভোগালে এই আসন নিয়মিত অভ্যাসে ভাল ফল পেতে পারেন।
· পেটের মেদ কমবে, ওজন ঝরাতেও আসনটি উপযোগী।
· পিঠ-কোমরের ব্যথা থাকলে তা অনেক কমে যাবে।
· পেট, তলপেট, পায়ের পেশি টানটান থাকবে।
কারা করবেন না?
হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার হলে এই আসন না করাই ভাল।
মেরুদণ্ড, নিতম্ব বা স্নায়ুতে অস্ত্রোপচার হলেও এই আসন করা যাবে না।
হার্টের সমস্যা থাকলে প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে তবেই আসনটি অভ্যাস করবেন।