সর্বক্ষণ মাথায় গিজগিজ করে হাবিজাবি চিন্তা? অল্পেই উদ্বেগ বাড়ে। মন সারাক্ষণই চঞ্চল, অস্থির। অহেতুক দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত উদ্বেগ কেবল মানসিক চাপই বাড়ায় না, মারাত্মক মানসিক রোগের কারণও হয়ে উঠতে পারে। তাই মানসিক চাপ থেকে রেহাই পাওয়া খুব জরুরি। সংসার, পেশা সামলাতে-সামলাতে মন ভাল থাকে না অনেক সময়েই। সামান্য বিষয় নিয়েও তখন উৎকণ্ঠা শুরু হয়। আর দুশ্চিন্তার সময় এমন কিছু হরমোনের নিঃসরণ হয়, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই মনের চাপ বাড়লে ওষুধ নয়, অভ্যাস করতে পারেন অধোমুখ শবাসন। কাজের জায়গার উদ্বেগ, উৎকণ্ঠায় যাঁরা প্রচণ্ড মানসিক চাপে ভুগছেন, তাঁরা নিয়মিত এই আসন অভ্যাসে সুফল পেতে পারেন।
কেন করবেন অধোমুখ শবাসন?
১) অধোমুখ শবাসনকে বলা হয় ‘ডাউনওয়ার্ড-ফেসিং ডগ পোজ়’। এই আসন অভ্যাসে হাত, পা, পেট, কোমর ও নিতম্বের পেশির ব্যায়াম হয়।
২) পেশির জোর বাড়াতে ও পিঠ-কোমরের ব্যথা-বেদনা কমাতে অভ্যাস করতে পারেন অধোমুখ শবাসন।
৩) এই আসন নিয়মিত করলে শরীরে রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়া ভাল হয়, রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমে।
আরও পড়ুন:
৪) মেরুদণ্ডের শক্তি বাড়াতে এই আসন অভ্যাস করতে বলেন প্রশিক্ষকেরা।
৫) অধোমুখ শবাসন স্ট্রেচিংয়েরও একটি ধরন, যাতে সারা শরীরের ব্যায়াম হয়। শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে।
৬) মাথা ঝুঁকিয়ে শ্বাস নিতে হয় এই ব্যায়ামে, এতে ফুসফুসের জোরও বাড়ে।
৭) মানসিক চাপ, উদ্বেগ, অবসাদ কমাতেও এই আসন উপযোগী। নিয়মিত অভ্যাসে একাগ্রতা বাড়বে।
কী ভাবে করবেন?
১) প্রথমে হাত ও হাঁটুতে ভর করে হামাগুড়ি দেওয়ার মতো করে বসুন
২) এ বার কোমর ও পিঠ সোজা করে তুলুন।
৩) হাতের তালু মাটিতে থাকবে, পিঠ উপরের দিকে তুলতে হবে, পায়ের পাতা মাটি স্পর্শ করে থাকবে। দেখতে লাগবে অনেকটা ইংরেজি ‘ভি’ অক্ষরের মতো।
৪) মাথা যতটা সম্ভব মাটির দিকে ঝুঁকিয়ে গভীর ভাবে শ্বাস টানতে ও ছাড়তে হবে।
৫) এই ভঙ্গিমায় ২০ সেকেন্ড থেকে আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসুন।
কারা করবেন না?
অন্তঃসত্ত্বারা চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে আসনটি অভ্যাস করবেন না।
হাঁটুতে ব্যথা থাকলে বা অস্ত্রোপচার হলে এই ব্যায়াম করা যাবে না।
হাতের কব্জিতে ব্যথা থাকলে আসনটি করবেন না।
মাইগ্রেন ও ভার্টিগোর সমস্যা থাকলে এই আসন না করাই ভাল।