বিশ্বব্যাপী হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে। ছবি: সংগৃহীত
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাব, মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপ সব মিলিয়ে বিশ্বব্যাপী হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে। আমেরিকায় প্রতি বছর প্রায় ৬০ হাজার মানুষ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
হৃদ্রোগকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় ‘সিভিডি’। যার পুরো নাম ‘কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ’। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আরও একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পরিবারে যদি কারও হদ্রোগের সমস্যা থেকে থাকে। হৃদ্রোগের পারিবারিক কোনও ইতিহাস থাকলেও হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় ভোগার আশঙ্কা থেকে যায়।
সমস্যা থাকলে তার সমাধানও থাকবে। পরিবারের যদি কারও হৃদ্রোগের সমস্যা থেকে থাকে , বাকি সদস্যেদের উচিত আগাম সতর্কতা নেওয়া। প্রয়োজন সুস্থ থাকতে প্রাত্যহিক খাদ্যাভ্যাসে কিছুটা বদল আনা।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে রোজকার খাবারে কী কী রাখবেন?
আখরোট
হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন আখরোট। ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ আখরোট হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে খুবই উপকারী। সম্প্রতি হাভার্ডের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আখরোট ছিল তাঁদের হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম ছিল। শুধু আখরোট খেতে না চাইলে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়েও আখরোট খাওয়া যেতে পারে।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল মূলত মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পলিফেনলের একটি সমৃদ্ধ উৎস। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ অলিভ অয়েল প্রতিদিনের রান্নায় ব্যবহার করলে হৃদ্যন্ত্র ভাল থাকে। সমীক্ষা বলছে, যাঁদের পরিবারে হৃদ্রোগের কোনও পূর্ব ইতিহাস আছে তাঁদের উচিত প্রতিদিন অন্তত ১০ গ্রাম অলিভ অয়েল খাওয়া। অলিভ অয়েল হৃদ্রোগের ঝুঁকি প্রায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়।
ফল
শুধু হৃদ্রোগ বলে নয়, ফল অন্যান্য শারীরিক সমস্যার ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়। চিকিৎসকরা তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফল রাখার কথা বারেবারে বলেন। ফল শরীরে ভিটামিন, ফাইবার, নানা রকম খনিজের মতো উপকারী উপাদানের ঘাটতি পূরণ করে।
‘অ্যাকাডেমি অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়াটিক্স’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি তথ্যে থেকে জানা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত ফল খান তাঁরা বিশেষ করে হৃদ্রোগে কম আক্রান্ত হন। এমনকি মহিলাদের ঋতুবন্ধের সময়েও যাঁরা নিয়মিত ফল খেয়েছেন হৃদ্রোগের পাশাপাশি অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থেকেও মুক্তি পেয়েছেন।
গ্রিন টি
সকালে উঠে চা পানের অভ্যাস কম বেশি সকলেরই আছে। হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখতে খেতে পারেন গ্রিন টি। হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে গ্রিন টি বেশ কার্যকর। রোজ না খেতে ইচ্ছা করলে অন্তত এক দিন অন্তর গ্রিন টি খেতে পারেন।
প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন
প্রক্রিয়াজাত মাংস বা অন্যান্য খাবার সুস্থ থাকতে এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। এ ছাড়াও মাত্রাতিরিক্ত ধূমপান হৃদ্রোগের ঝুঁকিও অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। রক্তচাপ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি অক্সিডেটিভ হরমোন উৎপাদনকেও বাড়িয়ে তোলে। ফলে মানসিক অবসাদও দেখা দেয়। হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমিয়ে সুস্থ থাকার লক্ষ্যে ধূমপান ত্যাগ করার পাশপাশি প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া থেকেও নিজেকে বিরত রাখুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy