ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে যদি নিয়ম করে হাঁটাচলা করা যায়, তা হলে অচিরেই শর্করার মাত্রা কমবে। প্রতীকী ছবি।
পরিমিত খাওয়াদাওয়া, নিয়ম করে ওষুধ খাওয়া, মিষ্টিজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকা— ডায়াবিটিস হলে জীবনে এই নিয়মগুলির নতুন সংযোজন হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে মানেই নানা বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। দৈনন্দিন রুটিন বদলে যেতে থাকে। রক্তে শর্করার মাত্রা বশে না রাখলে আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক থাকার কথা বলেন চিকিৎসকেরা।
ডায়াবেটিকদের সুস্থ থাকার একটি অন্যতম পথ হল শরীরচর্চা। নিয়ম করে যদি শরীরচর্চা করা যায়, তাহলে সুস্থ থাকা সম্ভব। শরীরচর্চা মানেই অনেকের কাছে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানো। সেটা যদি করা যায়, তার চেয়ে ভাল আর কিছু হয় না। কিন্তু ডায়াবিটিস ধরা পড়লে জিমে যাওয়া বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু নিয়ম করে হাঁটা জরুরি। হাঁটাহাঁটির সুফল অনেক। ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে যদি নিয়ম করে হাঁটাচলা করা যায়, তা হলে অচিরেই শর্করার মাত্রা কমবে।
দিনে ৩০-৪৫ মিনিট যদি হাঁটা যায়, ডায়াবেটিকরা সত্যিই সুফল পাবেন। কম করে অন্তত ১০ হাজার পা হাঁটলে শুধু ডায়াবিটিস নয়, পাশাপাশি আরও অনেক শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি কমবে। কিন্তু দশ হাজার পা হাঁটা মুখের কথা নয়। তবে পুরোটাই অভ্যাসের ব্যাপার। প্রথম দিন হাঁটতে বেরিয়েই এতটা পথ হেঁটে ফেলা যাবে না। রোজ হাঁটতে গেলে কয়েক দিনের মধ্যে লক্ষ্যে পৌঁছনো যাবে।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রথম চেষ্টা করুন ৫ হাজার পা হাঁটা। অনেকেরই মনে হতে পারে, সারা সকাল ধরে যদি হাঁটেন, তা হলে অফিস যাবেন কখন। সকালেই পুরোটা হেঁটে ফেলতে হবে, তার কোনও মানে নেই। দিনে তিনটি সময় ভাগ করে নিন। সকালে ১০ মিনিট হাঁটুন। দুপুরে সময় না পেলে বিকালে আরও ১০ মিনিট হাঁটুন। তার পর রাতে খাওয়াদাওয়ার পর ১৫ মিনিট হাঁটলেই যথেষ্ট।
নিয়ম করে হাঁটার এই অভ্যাসে হাড়ের অনেক সমস্যার ঝুঁকিও কমবে। ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। খাওয়াদাওয়ার যদি অনিয়মও হয়ে যায়, তা হলেও খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়। হাঁটার গুণেই সু্স্থ এবং রোগমুক্ত থাকবে শরীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy