Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Bharti Singh

সন্তান জন্ম দেওয়ার পরেও ওজন বাড়েনি ভারতীর! কী ভাবে নিজের চেহারা ধরে রেখেছেন তিনি?

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কেবল শরীরচর্চা করলেই চলবে না। চটজলদি ওজন ঝরাতে ইদানীং অনেকেই ভরসা রাখছেন ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’-এর উপর। ভারতীও কী এই পন্থাই মেনেছেন?

কী ভাবে ১৫ কেজি ওজন ঝরিয়েছেন ভারতী?

কী ভাবে ১৫ কেজি ওজন ঝরিয়েছেন ভারতী? ছবি: ফেসবুক

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২২ ১০:২৩
Share: Save:

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রিয়্যালিটি শোয়ের সঞ্চালনা করেছিলেন কৌতুকশিল্পী ভারতী সিংহ। একা একা বাড়িতে বসে সন্তানের অপেক্ষা করেননি। স্বামী হর্ষ লিম্বাচিয়ার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে টেলিভিশনের পর্দায় মানুষকে হাসিয়ে প্রতিটি দিন উদ্‌যাপন করেছেন। এপ্রিলে পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন তিনি। মা হওয়ার আগেই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং মেনে ১৭ ঘণ্টা করে উপোস করে তিনি ১৫ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছেন। সন্তান জন্ম দেওয়ার পরেও খুব একটা ওজন বাড়তে দেননি ভারতী। তিনি বলেন, ‘‘সন্ধ্যা ৭ টার পর আমি কিছুই খাই না। পরের দিন দুপুর ১২টা অবধি উপোস করে থাকি। এই মন্ত্রেই আমি ওজন ঝরিয়েছি।’’

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কেবল শরীরচর্চা করলেই চলবে না। সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসেও রাশ টানতে হবে। চটজলদি ওজন ঝরাতে ইদানীং অনেকেই ভরসা রাখছেন ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’য়ের উপর। এই ডায়েটে খাবারের ক্ষেত্রে তেমন কড়া বিধিনিষেধ থাকে না। তবে এ ক্ষেত্রে দিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যেই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার খেয়ে ফেলতে হয়। আর বাকি সময়টা অর্থাৎ, ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা কাটাতে হয় উপোস করে।

এই ডায়েট করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, কোলেস্টেরল হ্রাস পায় এবং শরীরও ভাল থাকে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে বিপাকহার ঠিক থাকে। এতে ক্যালোরিও কম খাওয়া হয়। ফলে ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে।

কারা এই ডায়েট করবেন না?

১) ডায়াবিটিস রোগীদের ওজন ঝরানো জন্য এই পন্থা না মেনে চলাই ভাল। যাঁদের ডায়াবিটিস নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে এই প্রকার খাদ্যাভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এই ডায়েট আদৌ কার্যকর নয়। ডায়াবিটিস-আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাঁরা নিয়মিত ওষুধ খান কিংবা ইনসুলিন নেন, তাঁরা যদি খাবারের পরিমাণ আচমকা কমিয়ে দেন তা হলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ অনেকখানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটি হাইপোগ্লাইসিমিয়ার লক্ষণ। এ ক্ষেত্রে রোগীর হৃদ্স্পন্দন বেড়ে যায়, ঘাম হয়, ঝিমুনি আসে এবং দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে আসে।

এপ্রিলে পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন ভারতী।

এপ্রিলে পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন ভারতী। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

২) হজমের সমস্যা থাকলে এই ডায়েট প্ল্যান এড়িয়ে চলাই ভাল।

৩) অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই ডায়েট মেনে চলার পরামর্শ দেন না চিকিৎসকেরা। যাঁরা সন্তানকে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ান তাদেরও এই ডায়েট এড়িয়ে চলা উচিত।

৪) শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলে বা ক্যানসারে আক্রান্ত হলে ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ না করাই ভাল।

৫) অনিদ্রার সমস্যা থাকলেও এই ডায়েট না করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE