মধ্যরাতে হঠাৎ আক্কেল দাঁতে যন্ত্রণা হলে কী করবেন? ছবি: সংগৃহীত।
সকাল থেকে কাঠফাটা রোদ। আবার, রাতের দিকে বৃষ্টি। খামখেয়ালি এই আবহাওয়ার জন্য সর্দি-কাশি তো হচ্ছেই, মাঝেমধ্যে দাঁতের ব্যথাও বেশ ভোগাচ্ছে। এই আবহাওয়ায় আক্কেল দাঁতের যন্ত্রণা ভোগায় সবচেয়ে বেশি। শক্ত কিছু চিবিয়ে খেতে গেলেই কষ্ট চরমে উঠছে। কারও কারও ক্ষেত্রে দাঁত থেকে যন্ত্রণা মাথা, কান, গলা পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। ঠান্ডা-গরমে মাড়ি ফুলে গিয়েও অনেকের দাঁতের সমস্যা বেড়ে যায়। মধ্যরাতে এমন যন্ত্রণা সামাল দেওয়া যেতে পারে ঘরোয়া কিছু টোটকায়।
১) লবঙ্গ
দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গ খুবই কার্যকর। মুখের মধ্যে ব্যথার এলাকায় একটি লবঙ্গ দাঁতে চেপে রাখতে হয়। এই লবঙ্গের রসে সেখানকার সংক্রামক ব্যাক্টেরিয়ার মৃত্যু তো হয়ই, একই সঙ্গে ব্যথাও কমে। এ ছাড়া, ব্যথার জায়গায় লবঙ্গের তেলও লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতেও ব্যথা দূর হবে।
২) নুন-গরম জল
ঈষদুষ্ণ জলে নুন মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে। এতে দাঁতের গোড়ায় থাকা ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত কমে। ফলে আক্কেল দাঁত যেখানে উঠছে, সেই জায়গায় কোনও সংক্রমণ থাকলে, তা কমে যায়। তা ছাড়া এতে মাড়ির ব্যথারও উপশম হয়।
৩) হলুদ
দাঁতের ব্যথা কমাতেও হলুদের জুড়ি নেই। হলুদের প্রদাহনাশক উপাদানে এই সমস্যা অনেকটাই সামাল দেওয়া যায়। হলুদের গুঁড়ো, সামান্য জল এবং কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। আক্রান্ত দাঁতের উপর এই মিশ্রণ মাখিয়ে রাখুন। মিনিটখানেক পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৪) রসুন
দাঁতের ব্যথা কমানোর মতো উপাদান রয়েছে রসুনে। রসুনের একটি কোয়া থেঁতো করে সরাসরি দাঁতের উপর মাখিয়ে রাখুন। মাড়িতে অল্প-বিস্তর জ্বালা করতে পারে। কিছু ক্ষণ পর যন্ত্রণার তীব্রতা কমতে শুরু করবে।
৫) ঠান্ডা-গরম সেঁক
সারা দিনে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ঠান্ডা-গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে মুখের বাইরে থেকে। একটি তোয়ালেতে বরফ নিয়ে ঠান্ডা সেঁক দিলে ব্যথা কমবে। গরম সেঁক দিলে রক্ত চলাচল বাড়বে। ফলে যন্ত্রণার দ্রুত উপশম হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy