Advertisement
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Hina Khan

কেমোথেরাপির মাঝেই ‘মিউকোসাইটিস’-এ আক্রান্ত হিনা! কী এই রোগ, জীবনের ঝুঁকি আছে কি?

কেমোথেরাপির বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। কারও চুল পড়ে যায়, কেউ আবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। কোনও ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিনও একেবারে তলানিতে এসে ঠেকে। তেমনই মিউকোসাইটিসও রয়েছে এই তালিকায়।

হিনা খান।

হিনা খান। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২২
Share: Save:

এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা। কেমোথেরাপির মাঝেই ‘মিউকোসাইটাস’ রোগে আক্রান্ত বলিউ়ড অভিনেত্রী হিনা খান। বৃহস্পতি বার সমাজমাধ্যমে নিজেই এ খবর দেন অভিনেত্রী। এই রোগ মূলত কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেই হয়। এ বছরের গোড়ার দিকে স্তন ক্যানসার ধরা পড়ে হিনার। তিনি জানিয়েছিলেন, ক্যানসারের তৃতীয় পর্যায়ে পা রেখেছেন। শুরু হয়েছিল কেমোথেরোপি। কেমোর কারণে চুলও পড়ে যায় অভিনেত্রী। তবু মনের জোর অটুট রেখেছিলেন। তবে এ বার যেন কিছুটা হলেও মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লেন তিনি। এমন অসহনীয় শারীরিক কষ্ট থেকে কী ভাবে রেহাই পাওয়া যায়,সমাজমাধ্যমে অনুরাগীদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন হিনা। অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘‘ কেমোথেরাপির বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে মিউকোসাইটিস হল একটি। চিকিৎসকেদের পরামর্শ মেনে চলছি। তবে কারও যদি এই রোগের সঙ্গে লড়াই করার ইতিহাস থেকে থাকে, তা হলে আমাকে কষ্ট কমানোর উপায় বলে দিন।’’ হিনার শারীরিক এবং মানসিক যন্ত্রণা ধরা পড়েছে তাঁর এই লেখায়।

কেমোথেরাপির বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। কারও চুল পড়ে যায়, কেউ আবার ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হন। কোনও ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিনও একেবারে তলানিতে এসে ঠেকে। তেমনই মিউকোসাইটিসও রয়েছে এই তালিকায়। যাঁদের ত্বক ভীষণ স্পর্শকাতর, এই ধরনের রোগের ঝুঁকি তাঁদের সবচেয়ে বেশি থাকে। জানাচ্ছেন ক্যানসার চিকিৎসক শুভদীপ চক্রবর্তী।

এই রোগের উপসর্গগুলি কী?

চিকিৎসক শুভদীপের কথায়, ‘‘গলা, মুখের ভিতর, ঠোঁটে অসহনীয় ব্যথা হয়। এক ধরনের প্রদাহ তৈরি। এই কারণে খাবার গিলতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়। শক্ত খাবার খেতে খেলেই রক্তপাতেরও ঝুঁকি থাকে। তবে কেমোথেরাপির মাত্রা একটু উপর-নীচে করে এবং ওষুধের মাধ্যমে এই সমস্যা কমানো যেতে পারে।’’

এই ধরনের শারীরিক অসুস্থতার ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম মেনে চলা জরুরি?

চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলতে হবে। যে হেতু মুখের ভিতরে যাবতীয় সমস্যা, তাই মুখের ভিতর পরিষ্কার রাখা জরুরি। কোনও অ্যালকোহল জাতীয় মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে বারণ করা হয়। ভাজাভুজি, তেলজাতীয় খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না। অনেক সময় স্বাদেরও বদল হয় এই রোগে। তাই একেবারে তরল খাবার খেতে পারলে ভাল। এমনটাই জানালেন চিকিৎসক শুভদীপ।

কেমোথেরাপি চলকালীন এই রোগ কি বাড়তি ঝুঁকির কারণ হতে পারে?

চিকিৎসক বলেন, ‘‘মিউকোসাইটিস হলে জীবনের কোনও ঝুঁকি থাকে না। খাওয়াদাওয়া যে হেতু একেবারেই কমে যায়, ফলে শরীরে সঠিক পুষ্টি পৌঁছতে পারে না। এমনকি দেহের ওজনের ভারসাম্যও ঠিকঠাক থাকে না। আর চিন্তা সেখানেই। এমন হলে পর পর কেমোথেরাপি নেওয়ার শক্তি থাকে না শরীরের। তখন বিরতি পড়ে। কেমোথেরাপির মাঝে যদি দীর্ঘ বিরতি তৈরি হয়, তা হলে তার প্রভাব চলে যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cancer ChemoTherapy Radiation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE