এই প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হলেও অফিসকাছারি-রান্না-খাওয়া কিছুই তো বাদ দেওয়া যায় না। কাজের প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যাওয়া তাই বন্ধ রাখা যাচ্ছে না। গরমে প্যাচপ্যাচে ঘাম অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। কারও খাবার হজম হতে অসুবিধা হচ্ছে, কেউ আবার মাথার ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন। দীর্ঘ ক্ষণ এসি চালিয়ে আবার অন্য সমস্যা হচ্ছে। এই সময় শরীর ভাল রাখতে কিছু বাড়তি যত্ন নেওয়া দরকার।

চিকিৎসকেরা বলছেন, চড়া রোদে বেশি ক্ষণ থাকলে মাথা ঘোরা, গা গোলানো, বমি বমি ভাব এমনকি শ্বাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই এই সময়ে শরীর ঠান্ডা রাখতে কী কী করণীয় তা জেনে নিন।

কেন গরমে শরীর খারাপ হয়?

রোদে বেশি হাঁটাহাঁটি বা দৌড়োদৌড়ি করলে শরীরের জল শুকিয়ে যায়। রাজ্যের জনস্বাস্থ্য প্রতিনিধি ও চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলছেন, প্রচণ্ড গরমে একটানা কাজ করলেও এমনটা হয়। শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। বাইরের তাপ আর শরীরের ভিতরের তাপের মধ্যে ভারসাম্য থাকে না। যার কারণেই শরীর আনচান করতে থাকে, নানা রকম অস্বস্তি শুরু হয়। তাই শরীর ঠান্ডা রাখা দরকার। প্রাকৃতিক ভাবেই সেটা করা যায়।

কী কী খাবেন

১. সহজপাচ্য খাবার খাওয়া জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ, বাড়িতে রান্না করা খাবারই খান। পাতে রাখুন সবুজ শাকসব্জি। পটল, ঝিঙের মতো সব্জি বেশি করে খান, যাতে জলের ভাগ বেশি। প্রথম পাতে একটু ঘি খেতে পারেন।

২. ডাবের জল খান পরিমাণ বুঝে।

৩. রোদ থেকে ফিরে কিছু ক্ষণ বসে শরীরের তাপমাত্রা একটু কমার সময় দিন। তার পরে লেবু আর বিটনুনের শরবত খেতে পারেন।

৪. দইয়ের ঘোল বাড়িতেই বানিয়ে নিন। জলখাবারে দই-চিঁড়ে, দই দিয়ে ফলের স্মুদি খেতে পারেন। দুপুরে খাওয়ার পরে শেষ পাতে বাড়িতে পাতা টক দই খান। আবার দই দিয়ে ভাতও চলতে পারে। শরীর ঠান্ডা রাখতে খুব উপকারী হল দই।

৫. চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলছেন, অতিরিক্ত ঝাল, নুন ও টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

বারে বারে তেষ্টা পেলে

১. ডাবের জল শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করে। শরীরকে জলশূন্য হতে দেয় না।

২. খেতে পারেন তরমুজের শরবত। তরমুজের শাঁস মিক্সিতে বেটে তার সঙ্গে জল আর মধু মেশান। তাতে অল্প বরফ ফেলে খেয়ে নিন।

৩. শশার শরবতও উপকারী। শশা মিক্সিতে বেটে নিয়ে তাতে একটু বিটনুন ছড়িয়ে খেয়ে নিন। ওজন কমাতেও এটি ভাল কাজ দেয়। শরীরও ভাল রাখে।