বাইরে খেলেও সুস্থ থাকবে শিশু, পুষ্টিবিদের পরামর্শ শুনুন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
পুজো মানে যেমন প্যান্ডেল ভ্রমণ, তেমনই দেদার খাওয়াদাওয়াও। ফলস্বরূপ ডায়েরিয়া, পেটের সমস্যা ইত্যাদি হওয়া স্বাভাবিক। আর এই সময়ে আবহাওয়া বদলাচ্ছে, রোগজীবাণুরও বাড়বাড়ন্ত। অনেকেই ভুগছে জ্বর, পেটের সমস্যায়। তাই বাড়তি সতর্কতাও জরুরি। রাত জেগে ঠাকুর দেখা, ঘড়ির কাঁটার তোয়াক্কা না করে যখন খুশি খাওয়াদাওয়া এই ক’টা দিনে চলবেই। বিশেষ করে শিশুরা ঠাকুর দেখতে বেরোলে রোল-চাউমিন বা ফুচকার জন্য বায়না করবেই। সব সময়ে বারণ করলে তাদের মনও খারাপ হবে। তাই সব দিক সামলেই শিশুর স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হবে বাব-মাকে।
পুজোর ক’দিন একটু-আধটু বাইরের খাবার খেতেই পারে শিশু, তবে কিছু নিয়ম মানতে হবে। এই বিষয়ে পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তীর মত, “ছোটরা কেন, বড়রাও পুজোর ক’দিন বাইরের খাবার খাবেনই। এই সময়ে কেউই তেমন নিয়ম মানেন না। তাই চেষ্টা করতে হবে, শিশুর ইচ্ছাপূরণ করেও তাকে সাবধানে রাখার।”
পুজোয় বাইরের খাবার খেয়েও সুস্থ থাকবে শিশু, বাবা-মায়েরা এই নিয়মগুলি জেনে নিন—
১) রোল-চাউমিন বা বিরিয়ানি, যা-ই খাক, তা যেন পরিমিত হয়। কম করে শিশুর পাতে দেবেন। ভাল কোনও রেস্তরাঁয় গিয়ে খাবেন। আর সম্ভব হলে বলে দেবেন, শিশুর খাবারে যেন ঝাল কম দেওয়া হয়।
২) নরম পানীয় একেবারেই দেবেন না। রাস্তা থেকে কেনা শরবত, বরফের গোলা বা আইসক্রিম কিনে দেবেন না। শম্পা জানাচ্ছেন, শিশু বায়না করলে ভাল কোনও মিল্ক শেক কিনে দিতে পারেন। তবে বাবা-মায়েরা দেখে নেবেন, তা যেন মেয়াদ উত্তীর্ণ না হয়।
৩) ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে যে দিন সন্ধ্যায় বা রাতে বাইরে খাবেন বলে ভাবছেন, সে দিন সকালে শিশুকে একদম হালকা মাছের ঝোল, ভাত আর স্যালাড দিন। খুব বেশি পদ দেবেন না। এক দিনে যেন বেশি প্রোটিন না খেয়ে ফেলে শিশু, খেয়াল রাখতে হবে।
৪) রাস্তায় যে রোল বিক্রি হয়, তাতে যে মাংস দেওয়া হয়, তা টাটকা হয় না বেশির ভাগ সময়েই। তাতে নানা রকম প্রিজ়ারভেটিভও মেশানো থাকে। তাই শিশু যদি এক দিন বাইরের রোল খায়, তা হলে বাকি দিনগুলিতে বায়না করলে বাড়িতেই বানিয়ে নিন। ময়দার সঙ্গে সামান্য আটা মিশিয়ে পরোটা বানাবেন। তাতে সিদ্ধ মাংস ও নানা রকম সব্জি দিন। সস্ না দিয়ে লেবুর রস দিন। নুন কম দিয়ে বরং গোলমরিচ দিন। তার পর ঠিক দোকানের মতো করে পরোটা মুড়ে রোল তৈরি করে শিশুকে দিন। আনন্দ করে খাবে।
৫) চাউমিনের ক্ষেত্রেও একই পন্থা অনুসরণ করুন। এক দিন বাইরে খেলে পরের দিন বাড়িতেই বানিয়ে দিন। প্রচুর সব্জি, চিকেন বা ডিম দিয়ে রাইস নুডল্স বানিয়ে দিন। যদি অলিভ তেল ব্যবহার করতে পারেন, তা হলে খুব ভাল হয়। স্বাদও বাড়বে আর শিশু খেতেও চাইবে।
৬) বাইরের খাবার খেলে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়াতে হবে শিশুকে। ফল ও শাকসব্জি খেতে হবে নিয়ম করে। সেই সঙ্গেই জরুরি হালকা ব্যায়াম। স্কিপিং, স্পট জগিং করাতে পারেন শিশুকে। ফিটনেস প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে হালকা যোগাসনও করাতে পারেন। তা হলেই ভারসাম্য বজায় থাকবে। পুজোর ক’দিন অনিয়মে অসুস্থ হয়ে পড়বে না শিশু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy