গাঁটের যন্ত্রণার দাওয়াই মিলবে হেঁশেলেই। ছবি: সংগৃহীত।
রাতের দিকে শীতের আমেজ টের পাচ্ছেন রাজ্যবাসী। আর শীতের শুরুতেই গলা খুসখুস, ঢোক গিলতে সমস্যা, কথা বলতে গেলেই গলায় অস্বস্তি— এই সব উপসর্গ দেখা দিচ্ছে ঘরে ঘরে। গরম জলে নুন দিয়ে গার্গল করেও খুব একটা লাভ হচ্ছে না। শীতে সর্দি-কাশির প্রকোপ ঠেকাতে ভরসা রাখুন আদার উপর। আদা রোদে শুকিয়ে, গুঁড়ো করে নিলেই তৈরি করা যায় শুঁঠ। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরি করতে এই শুকনো আদা ব্যবহারের নিদান দেয়। ঠান্ডায় গা গরম রাখতে পারে শুঁঠ। পুষ্টিবিদদের মতে, অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট-এ ভরপুর শুঁঠ, ‘ট্রিপসিন’ এবং ‘লাইপেজ়’ নামক দুটি উৎসেচকের ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে। এই দু'টি উৎসেচক প্রোটিন এবং ফ্যাট ভাঙতে সাহায্য করে, ফলে হজমশক্তি বাড়িয়ে শরীরকে চাঙ্গা রাখে।
এ ছাড়া আর কী কী কাজে লাগে শুঁঠ বা শুকনো আদা?
১) বদহজমের সমস্যা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না? কিছু খেলেই গলা-বুক জ্বালা করতে শুরু করে? এই সমস্যার সমাধানেও শুকনো আদা কাজে আসতে পারে।
২) মাইগ্রেনের যন্ত্রণা নিরাময়েও কাজ আসে শুঁঠ।
৩) শীতের মরসুমে জ্বর, সর্দি-কাশি লেগেই থাকে ঘরে ঘরে। এই মরসুমের ছোঁয়াচে সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে গুড় দিয়ে শুঁঠ খেতে পারেন।
৪) মেদ ঝরাতে রোজ সকালে উষ্ণ জলে লেবু, মধু দিয়ে খাচ্ছেন? এর সঙ্গে যদি একটু শুঁঠ মিশিয়ে নিতে পরেন, আরও ভাল কাজ হবে। ওজন ঝরবে দ্রুত।
৫) ঠান্ডায় বয়স্ক মানুষদের হাত-পায়ে যন্ত্রণা শুরু হয়। এই সমস্যা দূর করতে রোজ নিয়ম করে শুকনো আদা খেতে পারেন।
কী ভাবে খেলে উপকার পাবেন?
১) রাতে ঘুমোনোর আগে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
২) সকালে খালিপেটে ঈষদুষ্ণ জলে ঘি, মধু আর শুকনো আদা মিশিয়ে খেতে পারেন।
৩) চায়ে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy