শঙ্খধ্বনি ছাড়া সকাল-সন্ধ্যা হয় না। ছবি : সংগৃহীত
দু’বেলা নিত্য পুজোর সময়ে আর কিছু থাক না থাক, নকুলদানা আর শঙ্খধ্বনি থাকবেই। বহু বাড়িতেই শঙ্খধ্বনি ছাড়া সকাল-সন্ধ্যা হয় না। তবে বাড়িতে শাঁখ থাকলেও, শরীরের ক্ষতি হবে ভেবে আজকাল অনেকেই শঙ্খ বাজানো থেকে বিরত থাকেন। নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক সমস্যা থাকলে চিকিৎসকরা শাঁখ বাজাতে নিষেধ করেন, সে কথা ঠিক। কিন্তু বাড়িতে ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করা ছাড়াও ফুঁ দিয়ে শাঁখ বাজালে অনেক উপকারও যে হয়, সে কথা জানতেন?
প্রতিদিন শাঁখ বাজালে শরীরে কেমন প্রভাব পড়ে?
১) শাঁখ বাজানোর ফলে মহিলাদের দেহের নিম্নাংশের মাংসপেশি সবল হয়।
২) ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৩) বয়সকালে পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থি বেড়ে যাওয়ার সমস্যা রোধ করে।
৪) শ্বাস ধরে রাখা এবং ছাড়ার যে ব্যায়াম, তা শাঁখ বাজানোর ফলেই দু’বেলা অভ্যাস হয়ে যায়।
৫) শাঁখ বাজানোর ফলে থাইরয়েড গ্রন্থির উপর প্রভাব পড়ে। থাইরয়েড হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
৬) মুখের ফোলা ভাব এবং বলিরেখা কমাতেও সাহায্য করে।
আপাত ভাবে শাঁখ বাজানো শরীরে ইতিবাচক ফল দিলেও সকলের জন্য তা সমান ফলাফল না-ও দিতে পারে। কারা শাঁখ বাজানো থেকে বিরত থাকবেন এবং শাঁখ বাজানোর সময় কী কী মাথায় রাখবেন?
১) শাঁখ বাজানোর একটি পদ্ধতি আছে। যাঁরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ, তাঁদের কাছ থেকে শিখে নিন শাঁখ বাজানো। অসাবধানে জোরে ফুঁ দিলে চোখের এবং কানের পেশি ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
২) শাঁখ বাজানোর সময়ে অনেকেই মুখ দিয়ে শ্বাস নিয়ে ফেলেন। এটি ভুল পদ্ধতি। শাঁখ বাজানোর সময়ে মুখ দিয়ে শ্বাস না নিয়ে নাক দিয়ে শ্বাস নিন।
৩) উচ্চ রক্তচাপ, হার্নিয়া, গ্লোকোমার সমস্যা থাকলে শাঁখ না বাজানোই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy