চটজলদি রোগা হতে চাইলে ডিমের সঙ্গে খেতে পারেন কয়েকটি খাবার। ছবি: সংগৃহীত
ডিম অনেকেরই পছন্দের খাবার। ডিম যেমন স্বাদের যত্ন নেয়। তেমনই সুস্থ রাখে শরীরও। প্রাতরাশে ডিম খেলে অনেক ক্ষণ ভরা থাকে পেটও। ভিটামিন, মিনারেলস ও অন্যান্য উপকারী উপাদান সমৃদ্ধ ডিম ওজন ঝরাতেও দারুণ কার্যকর। বাড়তি ক্যালোরি ঝরিয়ে রোগা হতে চাইলে প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় অনায়াসে রাখতে পারেন ডিম। ওজন কমানো একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। ঝক্কিও অনেক। রোগা হওয়ার এই পর্বে অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। তবে চটজলদি রোগা হতে চাইলে ডিমের সঙ্গে খেতে পারেন কয়েকটি খাবার।
তাড়াতাড়ি রোগা হতে ডিমের সঙ্গে কী কী খেতে পারেন?
১) ডিম ও পালংশাক: অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ পালংশাক দ্রুত পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। পালংশাকে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ। এতে ক্যালোরির পরিমাণও একেবারে কম। গবেষণা বলছে, স্থূলতার সমস্যায় ভুগে থাকলে নিয়মিত পালংশাক খেলে ওজন কমবে দ্রুত। কিন্তু ডিমের সঙ্গে পালংশাক কী ভাবে খাবেন ভাবছেন তো? তেল ছাড়া বা এক ফোঁটা অলিভ অয়েল ঢেলে ডিমের ভুজিয়া বানিয়ে নিন। একই ভাবে দু’কোয়া রসুন দিয়ে পালংশাকও নে়ড়ে নিন। এ বার দুটো একসঙ্গে মিশিয়ে সকালের খাবারে খেতে পারেন।
২) ডিম ও নারকেল তেল: সাদা তেল বা মাখন দিয়ে অমলেট বানালে ক্যালোরি বাড়ে বই কমে না। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে ডিম ভাজতে পারেন নারকেল তেল দিয়ে। ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, পলিফেনল, সমৃদ্ধ নারকেল তেল শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট গলিয়ে শরীর মেদহীন রাখতে সাহায্য করে। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে না। ফলে ওজনও বাড়তে পারে না। নারকেল তেলে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিক থাকলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩) ডিম ও ওটমিল: বাড়তি ফ্যাট কমাতে ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়া প্রয়োজন। ডিম ও ওটমিল দুইয়েই প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ওটমিল ক্যালোরি নেই বললেই চলে। ওটমিলে থাকা স্টার্চ হজমশক্তি উন্নত করতেও সাহায্য করে। ডিমের সঙ্গে ওটমিল খেলে বিপাক হার বৃদ্ধি পায়। দ্রুত ঝরে মেদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy