গোটা সপ্তাহ খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে এক দিন ইচ্ছামতো খাবার খাওয়ার পোশাকি নাম ‘বিঞ্জ ডায়েট’। ছবি: সংগৃহীত
সারা সপ্তাহ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই প্রচুর পরিশ্রম করেন। নিয়ম করে শরীরচর্চা তো রয়েছেই। খাওয়াদাওয়াতেও মেনে চলেন কঠোর বিধিনিষেধ। কিন্তু সপ্তাহে এক দিন বিশেষ করে ছুটির দিনে রোগা হওয়ার বাসনা শিকেয় তুলে অনেকেই ডুব দেন রসনাবিলাসে। বাড়িতে হোক বাইরে জমিয়ে চলে ভূরিভোজ। সপ্তাহভর যে খাদ্যতালিকা মেনে চলেন, তা থেকে বেরিয়ে এসে সপ্তাহের একটি দিন বেছে নেন মনপসন্দ খাবার।
গোটা সপ্তাহ খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে এক দিন ইচ্ছামতো খাবার খাওয়ার পোশাকি নাম ‘বিঞ্জ ডায়েট’। অনেকটা ‘চিট ডে’-এর মতো। সাধারণ মানুষ থেকে তারকা, অনেকেই করেন ‘বিঞ্জিং’।
অনেক দিন ধরে পরিমাপ মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরে এক দিন স্বাদ বদলের ইচ্ছা হতেই পারে। তবে গবেষণা বলছে, এই ইচ্ছা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। ‘মলিকিউলার নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড রিসার্চ’ শীর্ষক গবেষণা পত্রে প্রকাশিত সমীক্ষায় এমনটাই বলা হয়েছে। সপ্তাহে এক দিন অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া আরও বেশি ক্ষতিকর শরীরের জন্য।
সারা সপ্তাহ জুড়ে যে নিয়মে চললেন, তা কোনও কাজে আসে না। বরং হজমশক্তি প্রভাবিত হয় এতে। বিপাক হার, পুষ্টি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে নির্ভর করে অন্ত্রের উপর। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ এক দিন ভাজাভুজি, তেল-মশলা জাতীয় খাবার খাওয়ার এই প্রবণতা অন্ত্রের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। শরীরের বিপাক ক্রিয়ায় এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। আর ওজন ধরে রাখতে বিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখা জরুরি।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, সপ্তাহে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরিমাণ ৮০ শতাংশ হলে খুব বেশি হলে ২০ শতাংশ মতো বাইরের খাবার খাওয়া যেতে পারে। পছন্দের খাবার থেকে জোর কনে দূরে না থেকে বরং অল্প অল্প করে স্বাদ নিতে পারেন। তবে পরিমাণের দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এতে নিয়ম মানা হল আবার পাশাপাশি, স্বাদ বদলও হল। তবে যদি একান্তই ‘বিঞ্জিং’ করতে হয়, তাহলে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে করাই ভাল। নিজে ঠিক করলে হিতে বীপরিত হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy