প্রতীকী ছবি।
মিষ্টির প্রতি অগাধ ভালবাসা ডায়াবিটিসের একমাত্র কারণ, এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। অত্যধিক মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে, এটা ঠিক। কিন্তু মিষ্টি খাওয়া ছাড়াও রোজের কিছু অভ্যাসেও ডায়াবিটিস বাসা বাঁধে শরীরে। তাই ঝুঁকি এড়িয়ে নিয়মে বদল আনা জরুরি। অভ্যাসও বদলে ফেলা প্রয়োজন।
সারা ক্ষণ কাজ করা
কাজ নিয়ে সারা ক্ষণ ব্যস্ত থাকেন অনেকেই। ব্যস্ততা মানেই নানা রকম চিন্তা, উদ্বেগও থাকে মন জুড়ে। সেগুলির প্রভাব পড়ে শরীরে। কাজের চাপে খাবার খাওয়ার কথাও মনে থাকে না অনেক সময়। দীর্ঘ ক্ষণ পেট খালি থাকলে শর্করার মাত্রাও বাড়তে থাকে। এই অভ্যাস দূর করা জরুরি।
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া
জলেই লুকিয়ে রয়েছে অনেক শারীরিক সমস্যার সমাধান। ডায়াবিটিসও সেই তালিকায় রয়েছে। সারা দিন কাজের চাপে জল খাওয়ার কথা মনে থাকে না অনেকেরই। সে জন্য কাজের টেবিলে চোখের সামনে জলের বোতলটি রাখুন। যাতে জল খাওয়ার কথা ভুলে না যান। শরীরে আর্দ্রতার অভাবেই ডায়াবিটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
কম ঘুমোনো
আধুনিক ব্যস্ততম জীবনে ঘুমের জন্য আলাদা করে সময় পাওয়া দুষ্কর। এই অপর্যাপ্ত ঘুম নানা রোগবালাই ডেকে আনে। শরীর সুস্থ রাখতে যে পরিমাণ ঘুমের প্রয়োজন, তার চেয়ে কম হলে ডায়াবিটিস হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। ঘুম যাতে পর্যাপ্ত হয়, সে দিকে অতি অবশ্যই খেয়াল রাখা জরুরি।
হরমোনজনিত সমস্যা
হরমোনের ভারসাম্য বজায় না থাকলে শরীর বিগড়োতে শুরু করে। হরমোনের এই ধারাবাহিক ভারসাম্যহীনতা ডায়াবিটিসের জন্ম দিতে পারে। তাই হরমোনজনিত কোনও সমস্যা থেকে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অসুখ ফেলে রাখলে সেই সূত্র ধরে নতুন কিছু সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে।
শারীরিক পরীক্ষা না করানো
কয়েক মাস অন্তর শারীরিক পরীক্ষা করানো সুস্থ থাকার নিয়মগুলির মধ্যে পড়ে। কিন্তু অনেকেই সময়ের অভাবে শরীরের প্রতি অবহেলা করে থাকেন। ফলে শরীরের অন্দরে কোনও সমস্যা হয়ে থাকলেও তা সঠিক সময়ে ধরা পড়ে না। আর কিছু না হোক, মাঝেমাঝে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে ডায়াবিটিস হল কি না, তা জেনে নেওয়া জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy