রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব পায়, লক্ষণ কিন্তু সুবিধার নয়। ছবি: ফ্রিপিক।
রাতে ঘন ঘন শৌচাগার যেতে হচ্ছে? বার বার প্রস্রাবের বেগ আসছে? রাস্তাঘাটে বেরোলে রীতিমতো নাজেহাল হচ্ছেন। বয়স্কদের মধ্যে সাধারণত এমন প্রবণতা দেখা দেয়। কিন্তু কম বয়সেও যদি এমন লক্ষণ দেখা দিতে থাকে, তা হলে সাবধান হতেই হবে।
ডায়াবিটিস হলে অর্থাৎ রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে তখন ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসতে পারে। কিন্তু ধরুন, আপনার ডায়াবিটিস নেই। তা-ও এমন হচ্ছে। তা হলে ধরে নিতে হবে ব্লাডার বা মূত্রথলিতে কোনও সমস্যা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভাল।
একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ দিনে তিন থেকে সাড়ে তিন লিটার জল পান করলে ভাল। তবে রোগব্যধি থাকলে এই পরিমাণ আলাদা হবে। স্বাভাবিক অবস্থায় কোনও পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির প্রস্রাবের পরিমাণ ২৪ ঘণ্টায় তিন লিটার বা এর অধিক হলে তা অস্বাভাবিক। তখন একে বলা হবে 'পলিইউরিয়া'। প্রয়োজনের অতিরিক্ত জল খেলে, ক্যাফিন যুক্ত পানীয় ঘন ঘন খেতে থাকলে, অ্যালকোহল বেশি খেলে তখন এমন হতে পারে। কর্মসূত্রে অনেককেই রাত জেগে কাজ করতে হয়। রাতভর যদি নরম পানীয় বা চা-কফি খাওয়ার প্রবণতা থাকে, তার থেকেও প্রস্রাবের রোগ দেখা দিতে পারে।
হার্টের অসুখ, কিডনিতে স্টোন এবং প্রস্টেটের সমস্যা থেকেও এমনটা হতে পারে। কিডনির ওষুধ বা কয়েকরকম মানসিক রোগের ওষুধ খেলেও প্রস্রাব বেশি পায়। মেনোপজের সময় এগিয়ে এলে মহিলাদের এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
দুরারোগ্য কোনও ব্যধি শরীরে বাসা বাঁধলে তার থেকেও এই লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। মস্তিষ্কের টিউমার, মূত্রথলিতে ক্যানসার, স্নায়ুর জটিল রোগ বা শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে গেলেও ঘন ঘন প্রস্রাব পেতে পারে। তাই কী কারণে এই সমস্যা হচ্ছে তা জানতে চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে। ইউরিন কালচার করিয়ে দেখে দেখে নিতে পারেন, মূত্রনালিতে কোনও সংক্রমণ রয়েছে কি না। তবে নিজে থেকে ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়াই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy