শুধু শরীরচর্চায় কমে না ওজন ছবি: সংগৃহীত
অতিরিক্ত ওজন বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে। তাই অনেকেই চেষ্টা করেন অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলতে। কিন্তু ওজন কমানোর সঠিক পন্থা না মেনে হঠাৎ খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিলে বা মাত্রাতিরিক্ত শরীরচর্চা শুরু করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, খালি হাতেই সপ্তাহে গড়ে অন্তত ২৭৫ মিনিট শরীরচর্চা করলে উপকার হয়। তবে তার পাশাপাশি, জীবনধারায় আনতে হবে নির্দিষ্ট কিছু বদল। রইল এমন কিছু টোটকা, যা ওজন কমাতেও সাহায্য করবে আবার ক্ষতিও করবে না শরীরের।
১। দিনে ৫ বার খাওয়া: অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওজনের ভারসাম্য না থাকার পিছনে যে কারণটি কাজ করে, তা হল সঠিক খাবার সময়মতো না খাওয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনে পাঁচ থেকে ছ’বার পরিমিত পরিমাণে খাওয়া জরুরি। পাশাপাশি, প্রতিটি খাবারের মধ্যে থাকতে হবে অন্তত দু’ থেকে তিন ঘণ্টার বিরতি। কিছু ক্ষণ অন্তর অল্প অল্প করে খেলে বিপাক প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকবে। ওজন কমানোর জন্য বিপাক প্রক্রিয়ায় ভারসাম্য থাকা অত্যন্ত জরুরি।
২। পর্যাপ্ত ঘুম: গবেষণা বলছে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বডি মাস ইন্ডেক্স (বিএমআই) বেড়ে যেতে পারে। আর বডি মাস ইন্ডেক্স বেড়ে যাওয়ায় অর্থ ওজন বৃদ্ধি। বিশেষজ্ঞদের মতে এক জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ছ’ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন।
৩। দূরে থাক প্রক্রিয়াজাত খাবার: ওজন কমানোর পথে প্রক্রিয়াজাত খাবার একটি বড় প্রতিবন্ধক। ওজন কমাতে চাইলে এই ধরনের খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে। বিশেষত, প্রক্রিয়াজাত খাবারে ব্যবহৃত ‘প্রিজারভেটিভ’ ওজন বৃদ্ধি করে ও অন্যান্য নানা রকমের অসুখ ডেকে আনে।
৪। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ: মানসিক স্বাস্থ্যকে অবহেলা করা নতুন কিছু নয়। অথচ দীর্ঘস্থায়ী মানসিক উদ্বেগ অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি ডেকে আনে স্থূলতাও। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি শরীরের বিভিন্ন হরমোনের ক্ষরণকে প্রভাবিত করে। পাশাপাশি, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে খাওয়াদাওয়ার উপরেও। এই সব কিছুই ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। কাজেই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ ওজন কমানোর জন্যেও অত্যন্ত জরুরি। প্রয়োজনে পরামর্শ নিতে হবে মনোবিদের।
৫। নড়াচড়া করা: ওজন কমাতে শরীরচর্চা করা কতটা প্রয়োজন তা সকলেই জানেন। তবুও অনেক সময় অফিসের চাপ কিংবা বাড়ির কাজের মধ্যে শরীরচর্চা করার জন্য সময় বার করা অসম্ভব হয়ে ওঠে। যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করার সময় পান না তাঁদের দৈনন্দিন কাজের মধ্য দিয়েই শরীরকে সচল রাখতে হবে। চলমান সিঁড়ি কিংবা লিফটের বদলে সাধারণ সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করা, কাছাকাছি স্থানে পায়ে হেঁটে যাওয়া, চেয়ারে বসে কাজ করার ফাঁকে ফাঁকে মিনিট খানেক হেঁটে নেওয়াও কিন্তু বেশ কার্যকরী হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy