বেশি বয়সে সন্তানধারণের আগে কোন শারীরিক পরীক্ষা করানো জরুরি? ছবি: সংগৃহীত।
মা হতে চলেছেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডের (বাফটা) মঞ্চে মোহময়ী রূপে ধরা দিয়েছিলেন দীপিকা। বাফটার মঞ্চে ৩৮ বছর বয়সি দীপিকাকে দেখেই চর্চা শুরু হয়েছে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হওয়া নিয়ে। শোনা যাচ্ছে, এ বছর বর্ষার মধ্যেই ভূমিষ্ঠ হবে দীপিকা ও রণবীর সিংহের প্রথম সন্তান। গত বছর এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা বলেছিলেন, ‘‘রণবীর আর আমি বাচ্চাদের খুব ভালবাসি। আমরা অপেক্ষা করছি যে দিন আমরা নিজেদের পরিবারে নতুন অতিথিকে নিয়ে আসতে পারব।’’
অনেক মহিলাই এখন বেশি বয়সে নিজের কর্মক্ষেত্রে একটি ভাল জায়গায় পৌঁছনোর পরেই মা হওয়া সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। চাইলেন আর মা হয়ে গেলেন, ব্যাপারটা কিন্তু অত সহজ নয়। আসলে ৩০-এর পর থেকে মেয়েদের শরীরে ডিম্বাণুর সংখ্যা ও গুণমান কমতে থাকে। ৩৫-এর পর প্রেগন্যান্সির সম্ভাবনা দ্রুত কমে যেতে থাকে। অন্তঃসত্ত্বা হলেও হরমোনের গোলমালের জন্য গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়ে। আবার ডিম্বাণুর গুণমান ভাল না হলে বাচ্চা বিকলাঙ্গ হতে পারে। বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে মায়ের স্বাস্থ্যও। তাই বেশি বয়সে সন্তানধারণের পরিকল্পনা করলে মাথায় রেখে চলতে হবে কিছু জরুরি বিষয়।
১) মা হওয়ার পরিকল্পনা করার সময়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলে ‘প্রি প্রেগন্যান্সি কাউন্সেলিং’ করাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে হবু সন্তান ও মায়ের অসুস্থ হয়ে পড়া ও অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি কমে যায়।
২) সকলের গর্ভাবস্থা এক রকম হয় না। শারীরিক অবস্থা যাচাই করেই চিকিৎসক ওষুধ দেন। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও রকম ওষুধ একেবারেই খাওয়া উচিত নয়।
৩) অনেক সময়ে হবু মায়ের ডায়াবিটিস বা থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে সাধারণ পরীক্ষা অর্থাৎ ফাস্টিং বা পিপি সুগার পরীক্ষা করিয়ে ধরা না-ও যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে এইচবিএ১সি টেস্ট ও গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট করা প্রয়োজন।
৪) থাইরয়েডের অসুবিধে থাকলেও অনেক সময়ে ভ্রূণ স্বাভাবিক ভাবে বাড়তে পারে না। টিথ্রি, টিফোর, টিএসএইচ পরীক্ষার পাশাপাশি অ্যান্টি টিজি অ্যান্টিবডি ও টিপিও পরীক্ষা করানো দরকার। এর সাহায্যে থাইরয়েড হরমোনের তারতম্য জেনে নিয়ে ওষুধ খাওয়া দরকার।
৫) হবু মায়ের রক্তের জমাট বাঁধার সমস্যা থাকলেও গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে। তাই এ ক্ষেত্রেও বিশেষ কিছু ওষুধ খাওয়া জরুরি। তাই মধ্য তিরিশে যাঁরা মা হতে চান তাঁদের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে এগোনো উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy