এমন রোগীদের মাথায় লক্ষ্যমাত্রা সব স্থির করা থাকে আগে থেকেই। ছবি: শাটারস্টক
সাফল্যের অন্যতম শর্ত হল যথাসম্ভব নিখুঁত ভাবে কাজ করার প্রয়াস করে চলা৷ অনেকের স্বভাবই থাকে নিখুঁত ভাবে কাজ করার। কিন্তু তা যদি বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যায় তা হলে কিন্তু মুশকিল। খুঁতবিহীন কাজ করতে গিয়ে কাজটাই আর সম্পন্ন করা হয়ে ওঠে না। ব্যর্থতা তো আসেই, জীবনের সব হিসাবও যেন গোলমাল হয়ে যায়। এই অভ্যাস থেকেই জন্ম নেয় অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিস়অর্ডার। কাজেই আপনি বাড়াবাড়ি করে ফেলছেন না তো, তা বুঝে নেওয়া বেশ জরুরি।বাতিকগ্রস্ত হয়ে পড়া বা অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিস়অর্ডারের হাত থেকে বাঁচতে খতিয়ে দেখুন, নিজের মধ্যেই কখনও এই অসুখের লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে না তো? জানেন এমন মানসিক অসুখের প্রাথমিক লক্ষণ কী কী?
কাজ হতে হবে নিখুঁত। ঘরের কাজ হোক কিংবা অফিসের কাজ, খুদেকে মানুষ করা হোক কিংবা ঘরের কাজ। অন্য কেউ আপনার কাজ করে দিলে তাকেও হতে হবে ‘পারফেক্ট’। না হলেই মনে হবে, তাঁরা অযোগ্য। বেশির ভাগ সমস্যার সূত্রপাত হয় এ নিয়ে। এমন রোগীদের মাথায় লক্ষ্যমাত্রা সব স্থির করা থাকে আগে থেকেই। ছেলে-মেয়েকে পরীক্ষায় প্রথম হতেই হবে, স্ত্রীকে রান্না করতে হবে ঠিক মনের মতো করে, যে করেই হোক প্রমোশন পেতেই হবে নইলে যেন সবটা বৃথা! চাহিদা পূরণ না হলে রাগ, অশান্তি, হতাশা, অপরাধবোধ গ্রাস করে মনের মধ্যে। ভাল কাজ করেও কিছুতেই সন্তুষ্টি আসে না। হারজিত বা ঠিক-ভুলের মাঝামাঝি কিছু বোঝেন না তাঁরা। অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিস়অর্ডারে ভুগলে তাই ‘কখনও না’, ‘সব সময়’, ‘এখনই’, ‘খুব খারাপ’, ‘খুব ভাল’ ইত্যাদি শব্দের ছড়াছড়ি৷ ছোট সমস্যা বড় হয়ে মানসিক অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এই লক্ষণগুলির মধ্যে কয়েকটিও যদি নিজের মধ্যে দেখেন তা হলে বাড়াবাড়ি হওয়ার আগে, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে৷সমাধান কোন পথে? প্রতিটি কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে নিন। সব কাজ মনের মতো করা সম্ভব নয়, এটা মেনে নিতেই হবে। নিজের ও অন্যের কাজের মান নিয়ে অসন্তুষ্টি ও সেখান থেকে অশান্তি দেখা দিলে পর পর কয়েকটি পদক্ষেপ করুন। নিজের দোষ, গুণ এবং চাহিদা পর পর একটি খাতায় লিখে রাখার অভ্যাস করুন। শান্ত মাথায় ভেবে দেখুন, এই চাহিদা কি আদৌ বাস্তবসম্মত? অন্যের কাজ পছন্দ না হলে রেগে না গিয়ে ভেবে দেখুন তাঁদের এ কাজ করার ক্ষমতা আদৌ আছে কি না। নিজের জন্য আলাদা করে সময় বার করুন। যে কাজ করতে ভালবাসেন সে দিকে মন দিন। সপ্তাহের অন্তত এক দিন কাজের চাপ ঝেড়ে ফেলে মন খুলে আনন্দ করুন৷ বছরে বার দুয়েক বেড়াতে যান। চেষ্টা করে ভুলে থাকুন কাজের কথা। অসুখ ঠেকাতে বেশি করে লোকের সঙ্গে মেলামেশা করুন। দরকার হলে কয়েক জনের সঙ্গে মিশে একজোট হয়ে প্রাতর্ভ্রমণ, যোগাসন, ধ্যান করুন নিয়মিত। এতেও সমস্যা আয়ত্তে না এলে মনোবিদ বা মনস্তত্ত্ববিদদের পরামর্শ নিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy