ঋতুবন্ধের পর মেয়েদের শরীরে স্বাভাবিক নিয়মেই হরমোনের অভাব দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত।
মেয়েদের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরিপূর্ণ হয়ে ওঠা থেকে সন্তানধারণ করা সব কিছুতেই ইস্ট্রোজেন হরমোনের ভূমিকা রয়েছে। প্রজননের সঙ্গে এই হরমোনের যোগ থাকলেও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও এই হরমোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রজনন ছাড়াও হার্ট এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যও ইস্ট্রোজেন হরমোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে ঋতুবন্ধের পর মেয়েদের শরীরে স্বাভাবিক নিয়মেই এই হরমোনের অভাব দেখা যায়। যার ফলে নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে ওষুধ নয়, কিছু খাবারের উপর ভরসা রাখলেই হবে।
প্রাকৃতিক ভাবে ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে কোন কোন খাবারের উপর ভরসা রাখবেন?
১) তিসি
মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে তিসি বা ফ্ল্যাকসিড্স। ইস্ট্রোজেন হরমোনের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে তিসি। এই বীজে রয়েছে ‘ফাইটোইস্ট্রোজেন’ নামক একটি যৌগ, যা ঋতুবন্ধ হয়ে যাওয়ার পর মহিলাদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস করে।
২) সয়াবিন
সয়াবিন, সয়া দুধ, টোফু এবং ইয়োগার্ট খেলে স্বাভাবিক ভাবেই ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি সয়া খাবার শরীরে প্রোটিনের অভাবও পূরণ করে।
৩) তিল
তিসির মতোই তিলও শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোন উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ১০০ গ্রাম তিল বীজে ‘লিগন্যান্স’এর পরিমাণ ০.৫ শতাংশ। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত তিল খেলে ঋতুবন্ধ হয়ে যাওয়ার পর মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে।
৪) ছোলা
ফাইটোইস্ট্রোজেন যৌগটির প্রাকৃতিক উৎস হল ছোলা। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন ১০০ গ্রাম ছোলা খেলে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ বাড়তে পারে প্রায় ৯৯৩ মাইক্রোগ্রাম। অবশ্য শুধু ছোলা নয়, রাজমা, মটরশুঁটি, বিন্স খেলেও একই রকম উপকার মেলে।
৫) দুগ্ধজাত খাবার
চিজ়, দুধ, দই বা দুগ্ধজাত খাবারে সামান্য হলেও ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সর বা ক্রিম তোলা দুধের চেয়ে ফুল ফ্যাট দুধে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy