Advertisement
২১ ডিসেম্বর ২০২৪
kidney diseases

৫ অভ্যাস: ডায়াবিটিসের রোগীদের কিডনির সমস্যা এড়িয়ে চলতে সাহায্য করে

কর্মব্যস্ততার কারণে অনেকেই আলাদা করে কিডনির যত্ন নেওয়ার সুযোগ পান না। তবে একটু সচেতন থাকলেই হতে পারে মু‌শকিল আসান। ডায়বেটিকরা কোন কোন সাধারণ অভ্যাসেই দূরে থাকে কিডনির নানা সমস্যা?

ডায়াবেটিকরা কিডনি নিয়ে সতর্ক হোন।

ডায়াবেটিকরা কিডনি নিয়ে সতর্ক হোন। ছবি: শাটারস্টক।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৩ ১৪:৪৪
Share: Save:

কিডনি ছাড়া শরীর একেবারে অচল। শরীর চাঙ্গা রাখতে হলে কিডনিকে অবহেলা করলে চলবে না। নয়তো শরীরে নানা জটিলতা বাসা বাঁধতে পারে। বড় কোনও শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আগে তাই সতর্ক থাকা জরুরি। কোনও ক্রনিক অসুখ না থাকলে সাধারণত কি়ডনির যত্ন নেওয়া খুব কঠিন কাজ নয়। ছোটখাটো কিছু যত্নেই সুস্থ রাখা যায় কিডনিকে। কর্মব্যস্ততার কারণে অনেকেই আলাদা করে নিজের যত্ন নেওয়ার সুযোগ পান না। আর তাতেই বাড়ে বিপত্তি। তবে একটু সচেতন থাকলেই হতে পারে মু‌শকিল আসান।

কোন কোন সাধারণ অভ্যাসেই দূরে থাকে কিডনির নানা সমস্যা?

১) শরীরে জলের ঘাটতি হলে চলবে না। সাধারণত যে কোনও সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ৩-৪ লিটার জলের প্রয়োজন হয়। তাই শরীরের প্রয়োজন কতটুকু, সেই পরামর্শ নিয়ে রাখুন চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের কাছ থেকে। সেই অনুপাতে জল খান। শরীরের যাবতীয় বর্জ্য বাইরে বার করে দিতে জলই সাহায্য করে। জলের ঘাটতি হলেই সেই বর্জ্য কিডনিতে জমা হয়ে কিডনিকে বিকল করে দেয়।

২) কিডনিতে সংক্রমণের অন্যতম কারণ হল প্রস্রাব চেপে রাখা। সাধারণত রাস্তাঘাটে বা অনেক সময়ে কাজের চাপে বাড়িতে থাকলেও অনেকে প্রস্রাবের বেগ চেপে রাখেন। এই অভ্যাস মোটেই ভাল নয়। এর ফলে মূত্রনালিতে চাপ পড়ে, তাতেই ক্ষতি হয় কিডনির। বেশি ক্ষণ প্রস্রাব ধরে রাখার ফলে কিডনির শারীরবৃত্তীয় কাজ সারতে সমস্যা হয় ও দীর্ঘ সময় ধরে টক্সিন ধরে রাখায় শরীরে সংক্রমণ ঘটে।

৩) ডায়াবিটিসের রোগীদের কিডনি ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তাই সব সময়ে চেষ্টা করুন ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে। রক্তে শর্করার পরিমাণ কোনও ভাবেই বাড়তে দেওয়া যাবে না। কিডনি ভাল রাখতে ডায়াবিটিস প্রতিরোধ প্রয়োজন। সেই সঙ্গে নিয়মিত রক্তের পরীক্ষা করার পাশাপাশি কিডনি ভাল আছে কি না, সেটাও পরীক্ষা করানো জরুরি।

ডায়াবিটিসের রোগীদের কিডনি ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

ডায়াবিটিসের রোগীদের কিডনি ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি বেশি। ছবি: সংগৃহীত।

৪) সামান্য ব্যথা হলেই বেদনানাশক ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকে অনেকেরই। অতিরিক্ত মাত্রায় এই ধরনের ওষুধ কিন্তু কিডনির নানা সমস্যা তৈরি করে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ভাবেই কোনও রকম অ্যান্টিবায়োটিক বা বেদনানাশক ওষুধ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।

৫) অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস থাকলেও সতর্ক হোন। শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেশি হলে রক্তচাপ বেড়ে যায়, প্রভাব পড়ে কিডনির উপরেও। কার্বনযুক্ত নরম পানীয় নিয়মিত খেলে কিডনির ক্ষতি হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Diabetes
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy