রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। —ফাইল চিত্র।
মেট্রো হোক কিংবা দূরপাল্লার রেললাইন, পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ রেল প্রকল্প জমির জটে আটকে রয়েছে বলে আজ সংসদে দাবি করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
আজ বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের করা একটি প্রশ্নের উত্তরে রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে যে প্রকল্পগুলি চলছে তার জন্য প্রয়োজন মোট প্রয়োজন ৩,০৪০ হেক্টর জমি। সেখানে জমি অধিগ্রহণ হয়েছে মাত্র ৬৪০ হেক্টর। মোট জমির মাত্র ২১ শতাংশ। এর ফলে নতুন লাইন (১৩), গেজ পরিবর্তন (৪), ডাবলিং (২৬)— সব মিলিয়ে ৪৩টি প্রকল্পের ৪,৪৭৯ কিলোমিটারের মধ্যে কেবল ১,৬৫৫ কিলোমিটার লাইন পাতা সম্ভব হয়েছে।
রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, এর মধ্যে সব থেকে খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে চন্দনেশ্বর-জলেশ্বর নতুন রেললাইন (৪১ কিলোমিটার) প্রকল্প। এতে এক ছটাক জমিও অধিগ্রহণ হয়নি। নৈহাটি-রানাঘাটের মধ্যে তৃতীয় লাইন (৩৬ কিলোমিটার) প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ হয়েছে ০.০৯ শতাংশ। নবদ্বীপঘাট-নবদ্বীপধাম নতুন রেললাইন (১০ কিলোমিটার) প্রকল্পের জমি হাতে পাওয়া গিয়েছে ০.১৭ শতাংশ। রেল জানিয়েছে, জমি অধিগ্রহণের রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কারণে প্রকল্প রূপায়ণে দেরি হচ্ছে, প্রকল্প খরচ বাড়ছে। রাজ্যের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েও তা পড়ে থাকছে।
একই অবস্থা মেট্রো রেল প্রকল্পগুলির। নিউ গড়িয়া থেকে দমদম মেট্রোর ৩২ কিলোমিটারের মধ্যে কাজ হয়েছে কেবল ৯.৮ কিলোমিটার। বেলেঘাটা থেকে দমদম বিমানবন্দরের মধ্যে যানবাহনের অভিমুখ পরিবর্তনের অনুমতি না আসায় কাজ শ্লথ গতিতে চলছে। জোকা-এসপ্লানেড প্রকল্পের কাজ হয়েছে ৭.৭৪ কিমি। জমি অধিগ্রহণ ও মাটির নীচে ও উপরে পরিষেবা না সরানোয় বাকি ৬.২৬ কিলোমিটার কাজ ধীর গতিতে এগোচ্ছে। নোয়াপাড়া-বারাসতের মধ্যে ১৮ কিলোমিটার লাইনের ১৫.১৬ কিলোমিটার লাইন পাতার কাজ জমি অধিগ্রহণে সমস্যা ও দখলদারদের কারণে আটকে রয়েছে। বরাহনগর থেকে ব্যারাকপুর এই ১২.৫ কিলোমিটার রেল লাইন পাতার কাজের ক্ষেত্রে এক ইঞ্চিও জমিও অধিগ্রহণ হয়নি। রেল জানিয়েছে, রাজ্য সরকার বিটি রোডের নীচে দিয়ে যাওয়া কলকাতা কর্পোরেশনের জলের পাইপ না সরানোয় কাজথমকে রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy