গর্ভনিরোধক ছাড়া মিলনের পর অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য অনেকেই নানা উপায় খোঁজেন । ছবি: শাটারস্টক
বাবা-মা হওয়ার আগে তো অনেক পরিকল্পনার প্রয়োজনই। কিন্তু যাঁরা সন্তানধারণের জন্য প্রস্তুত নন, তাঁদেরও কিছু প্রস্তুতি নিতে হয় বইকি। সঙ্গমের সময়ে অসতর্ক হলেই বিপদ। কন্ডোম বা গর্ভনিরোধক ওষুধে এমন পরিস্থিতি ঠেকানো যায়। এ ছাড়া, ক্যালেন্ডার দেখে মেয়েদের ঋতুচক্রের সবচেয়ে নিরাপদ দিনগুলিতে মিলনে লিপ্ত হওয়া যেতে পারে। ঝুঁকি খানিকটা হলেও কমে। কিন্তু চরম যৌনসুখ উপভোগ করতে গিয়ে ভুলভ্রান্তিও হয়। উত্তেজনায় কখনও কখনও কেউ কেউ আবার অসতর্ক হয়ে পড়েন। মিলনের পর অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য তাঁরা নানা উপায় খোঁজেন। ইন্টারনেটে অনেক এমন উপায়ের উল্লেখ পাওয়া যায় সহজেই। আদৌ কতটা ঠিক সেগুলি?
১) মিলনের পর প্রস্রাব: অনেকের ধারণা নিরোধ ছাড়া মিলনের পর প্রস্রাব হলে সন্তানধারণের ঝুঁকি কমে। তবে এই ধারণা ভুল। প্রস্রাব নির্গত হয় মূত্রনালি থেকে, যোনির সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। তাই প্রস্রাব করলেই যোনি থেকে সব ধুয়ে যাবে, এমনটা হওয়ার নয়। সঙ্গমের পর প্রস্রাবের অভ্যাস আপনার যৌনরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমায় না। এ ক্ষেত্রে কন্ডোমের ব্যবহারই একমাত্র মুক্তির পথ।
১) সঙ্গমের পর জাম্পিং জ্যাক করা: অনেকে বলেন সঙ্গমের পর জাম্পিং জ্যাক করলে নাকি সন্তানধারণের ঝুঁকি কমে। খানিক লাফালাফি করে শরীরচর্চা করলে আপনার শরীর সুস্থ থাকতে পারে, তবে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া আটকানো সম্ভব নয়।
২) ঋতুস্রাবের সময়ে সঙ্গম: অনেকের ধারণা ঋতুস্রাবের সময়ে গর্ভনিরোধক ছাড়া মিলন নিরাপদ। তবে এই ধারণা ভুল। যদি ভাবেন ঋতুস্রাব চলছিল বলেই আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন, ভুল করবেন। তার পরও অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়তেই পারেন।
৩) অন্তিম মুহূর্তের আগেই নিষ্ক্রমণ: অনেকেই মনে করেন, কন্ডোম না পরলেও চলে। অন্তিম মুহূর্তের ঠিক আগেই যদি নিষ্ক্রমণ করে ফেলা যায়, তা হলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই থাকে না। প্রথম কথা, প্রত্যেক বার সঠিক সময়ে আপনি এই কাজ না-ও করতে পারেন। তার উপর যদি সফলও হন, অন্তিম মুহূর্তের আগেই পুরুষের যৌনাঙ্গ থেকে আরও এক ধরনের তরল বার হয়। যার ইংরেজি নাম ‘প্রি কাম’। তাতেও কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণে শুক্রাণু থাকে। সে ক্ষেত্রেও কিন্তু সন্তানধারণের ঝুঁকি থাকে।
৪) যোনির বাইরেই বীর্যপাত: যোনির মধ্যে না হয়ে যদি যোনির ঠিক কাছেও ইজাকুলেশন হয়, তা হলে যোনির বাইরের লালারস শুক্রাণু বহন করে শরীরের ডিম্বাণু পর্যন্ত পৌঁছে দিতেই পারে। ফলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy