মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে কোন ৫ কারণে? ছবি: শাটারস্টক
রোদ থেকে ফিরেই প্রচণ্ড মাথা যন্ত্রণা, সঙ্গে গা গোলানো, হালকা জ্বর। এই লক্ষণগুলি মাইগ্রেনের রোগীদের কাছে নতুন নয়। একটানা বেশ ক’দিন থাকার কারণে এই ব্যথা শরীর কাবু করে দেয়। গরমের মরসুমে এই সমস্যা আরও বাড়ে। মাইগ্রেন জিনঘটিত রোগ। পরিবারের কারও থাকলে, হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মস্তিষ্কের ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু উত্তেজিত হলে এই ব্যথা হয়। সেরেটোনিন নামক রাসায়নিকের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেও এই ব্যথা হয় বলে মত চিকিৎসকদের।
ওষুধ বা প্রয়োজনীয় সাবধানতা না নিলেই যে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে, এমন ধারণা ভুল। বরং আমাদের রোজের অনেক অভ্যাসের উপরেও নির্ভর করে এ ব্যথার প্রকোপ বাড়বে কি না। নিজের কোনও ভুলেই মাইগ্রেনকে ডেকে আনছেন না তো? জেনে নিন কোন কোন অভ্যাসের জেরে মাইগ্রেনের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
ঘুমে অনিয়ম: ঘুমের জন্য অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা বরাদ্দ রাখতেই হবে। একান্ত না পারলে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমোন। দিনের পর দিন রাত জাগলে ঘুম কম হলে কিন্তু মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়বে। রাত জেগে ওয়েব সিরিজ় দেখার অভ্যাসে খানিকটা রাশ টানুন।
চিনি: চিনি আছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথাও বাড়তে পারে।
খালি পেট রাখা: নির্দিষ্ট সময় অন্তর টুকটাক স্বাস্থ্যকর কিছু খেতে থাকুন। দীর্ঘ ক্ষণ না খেয়ে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের প্রকোপ শুরু হয়। মাইগ্রেন টেনে আনতে গ্যাস্ট্রিকের জুড়ি নেই। কাজেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এড়াতে পেট খালি না রাখাই উচিত।
একটানা কম্পিউটারের দিকে তাকানো: একটানা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ? মাঝেমাঝে বিরতি না নিলে কিন্তু মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়বে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু চোখ-মুখে জল দিয়ে আসুন, বসার আসন থেকে উঠে ঘুরে আসুন।
শরীরে জলের ঘাটতি: গরমের দিনে এমনিতেই ডিহাইড্রেশন হয়। এই ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থেকেও কিন্তু মাইগ্রেন হতে পারে। তাই বাইরে বেরোলেই সঙ্গে জল রাখুন। জল ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পানীয় যেমন ডাবের জল, টাটকা ফলের রস, ছাতুর শরবত খেতে পারেন। তবে সোডাযুক্ত নরম পানীয় এড়িয়ে চলাই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy