হাঁপানির সমস্যা দূর করতে অন্দরসজ্জায় আনুন বদল। ছবি: সংগৃহীত।
চার দিকে দূষণ যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে হাঁপানির সংক্রান্ত সমস্যা। বর্ষার মরসুমে এই সমস্যার কারণে ভোগান্তি বাড়ে রোগীদের। ধুলো, অ্যালার্জি বা দূষণের প্রকোপে ফুসফুসে অক্সিজেন বহনকারী যে সরু সরু নালিপথ আছে, তা কুঁচকে যায়। শ্বাসনালির পেশি ফুলে ওঠে, তাই শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি শুরু হয়। এই অসুখের প্রবণতা যাঁদের আছে, অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের সারা জীবনই এই সমস্যা বহন করতে হয়। এর কোনও চটজলদি সমাধান নেই। হাঁপানির সমস্যা সম্পূর্ণ নিরাময় হয় না। কেবল বাইরে দূষণই যে বিষাক্ত এমন নয়। বাইরের বায়ুদূষণের প্রভাব পড়ে ঘরের ভিতরেও। বাড়িতে চাঙ্গা থাকতে হলে অন্দরসজ্জায় সবুজের ছোঁয়া আনতে হবে। এমন কিছু গাছ আছে, যা ঘরে রাখলে হাঁপানির সমস্যা থেকে রেহাই মেলে। বাড়িতে কারও হাঁপানির সমস্যা থাকলে জেনে নিন, কোন কোন গাছ বাড়িতে রাখলে সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে।
মানি প্লান্ট: বহু বাড়িতেই এই গাছ থাকে। মানিপ্ল্যান্ট বাঁচানোর জন্যও বিশেষ পরিশ্রম করতে হয় না। এমনকি, মাটিও লাগে না এই গাছ বাঁচাতে। শুধু জলে রেখে দিলেও বেঁচে থাকে। ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ করতে এই গাছ বেশ উপকারী।
অ্যালো ভেরা: অন্দরসজ্জায় অ্যালো ভেরা গাছ রাখতেই পারেন। এই গাছ বাতাস পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। দূষণের প্রকোপ কমে। হাঁপানির সমস্যা থাকলে বাড়িতে বেশ কয়েকটি অ্যালো ভেরা গাছ রাখলে উপকার পাবেন।
স্পাইডার প্লান্ট: বাড়িতে এই গাছ রাখলে খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন পড়ে না। ফর্মালডিহাইড এবং জাইলেনের মতো দূষিত পদার্থ বাতাস থেকে টেনে নেয় এই গাছ। শিশু এবং পোষ্যরাও নিরাপদ এই গাছ থেকে।
আইভি লতা: বাড়ির বারান্দায় অনেকে এই গাছ লাগান। কিন্তু গ্রীষ্মপ্রধান দেশে ঘরের ভিতরে রাখাই ভাল। এই গাছ অন্দরে রাখলে ঘরের শোভাও বাড়ে সঙ্গে বাতাসও পরিশুদ্ধ হয়।
পিস লিলি: বেনজিন, ফর্মালডিহাইড থেকে অ্যামোনিয়ার মতো ক্ষতিকর উপাদানগুলি বাতাস থেকে টেনে নিতে পারে এই গাছ। তবে বাড়িতে পোষ্য থাকলে সাবধান। পোষ্যদের শরীরে এই গাছ বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy