ডায়েট-পর্বে ৫ ভুল এড়িয়ে চলুন। ছবি: শাটারস্টক।
পুজোর আগে ওজন ঝরানোর একটা বড় পর্ব থাকে। সারা বছরের শত অনিয়ম পুজোর আগে ঝেড়ে ফেলার একটা দীর্ঘ প্রস্তুতি চলতে থাকে। অনেকের ধারণা কম খাবার খেলেই বুঝি রোগা হওয়া যায়। তাই পুজোর আগে এক প্রকার খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেন অনেকেই। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, রোগা হওয়ার জন্য উপোস করে থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। ডায়েট শুরুর দিকে খিদে পাওয়া স্বাভাবিক। তবে খিদে মেটাতে যা খুশি তা-ই খেয়ে নেওয়া যায় না। খিদে পেলেও তা সামাল দেওয়া জরুরি। নয়তো ওজন বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু কী ভাবে দেবেন?
১) সকালের খাবার না খাওয়া সবচেয়ে খারাপ অভ্যাস। এতে ওজন তো কমেই না, উল্টে বেড়ে যায়। উপোস করে থেকে ওজন কমানোর পরিকল্পনা একেবারেই ভুল। বরং সময় মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ওজন ঝরানো যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে সকালের খাবার এড়িয়ে গেলে চলবে না।
২) ওজন কমানোর পর্বে প্রোবায়োটিক অত্যন্ত জরুরি একটি উপাদান। শরীরে প্রোবায়োটিকের অভাব ঘটলে ওজন কমানো মুশকিল হয়ে পড়ে। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে প্রোবায়োটিক সবচেয়ে বেশি থাকে। অথচ রোগা হবেন বলে অনেকেই এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলেন। এটি ভুল সিদ্ধান্ত। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রোবায়োটিক খেতেই হবে।
৩) মানসিক ভাবে চাঙ্গা থাকতে হবে। ডায়েট শুরু করলে অনেকেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। ফলে শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এমন হলে অজান্তেই বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলি। ওজন কিছুতেই কমে না। ডায়েট শুরু করার আগে তাই মানসিক ভাবে প্রস্তুত হন। নইলে শত চেষ্টাতেও ওজন কমবে না।
৪) খাওয়ার সময়ে তাড়াহুড়ো না করাই ভাল। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবার খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। খিদেও কম পায়। বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে যায়।
৫) ওজন কমানোর জন্য শুধু কড়া ডায়েট মানলেই চলবে না, জলও খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। নিয়ম মেনে ডায়েট করলেও জল খেতে ভুলে যান অনেকেই। জল কম খেলে হজম ভাল হয় না। রোগা হওয়ার জন্য হজম ঠিকঠাক হওয়া জরুরি। প্রয়োজনের তুলনায় কম জল খাওয়ার অভ্যাস ওজন বাড়িয়ে দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy