‘জাদু কি ঝাপ্পি’-র গুণ অনেক। ছবি: সংগৃহীত।
চলছে প্রেমের সপ্তাহ। সপ্তাহে একেকটি দিন একেক ভাবে চিহ্নিত। ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেমদিবস। কিন্তু, তার আগে আলিঙ্গন দিবসের গুরুত্বও কিছু কম নয়। একটি উষ্ণ আলিঙ্গন আপনার সঙ্গীকে বুঝিয়ে দেবে, আপনি তাঁর পাশে রয়েছেন সব সময়। আলিঙ্গনের মধ্যে দিয়ে একে অপরের প্রতি ভালবাসা, আবেগ, তাঁকে আগলে রাখার তাগিদ, সবটাই একসঙ্গে প্রকাশ করা যায়। শুধু মাত্র দম্পতিরাই নয়, এই দিনটা পালন করা যায় নিজের বন্ধুবান্ধব, বাবা-মা অথবা যাঁরা আপনার খুব কাছের, তাঁদের সকলের সঙ্গেই। আলিঙ্গন কেবল ভালবাসার প্রতীক নয়। এই অভ্যাস কিন্তু সুস্বাস্থ্যের দাওয়াইও হতে পারে। হালের সমীক্ষা বলছে, আলিঙ্গন শুধু মাত্র আবেগ প্রকাশের মাধ্যমই নয়। এর মাধ্যমে মস্তিষ্ক থেকে এক প্রকার হরমোন নিঃসৃত হয়, যা শারীরিক ও মানসিক বিকাশে নানা ভাবে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, মানসিক চাপ কমাতেও আলিঙ্গনের জুড়ি মেলা ভার।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আলিঙ্গন মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সক্ষম। প্রিয়জনের সঙ্গে আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থায় অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন মস্তিষ্ককে শান্ত রাখে। সমীক্ষা বলছে ১০ সেকেন্ড বা তার বেশি সময় ধরে আলিঙ্গন করলে মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে, খুব কাছের কোনও বন্ধু বা প্রিয়জন কেউ জড়িয়ে ধরলে মানসিক প্রশান্তি আসে। এ ছাড়াও আলিঙ্গন আরও বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে—
১) আলিঙ্গন দ্রুত মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। অফিসের চাপ, সংসারের চাপে সকলেই এখন কমবেশি জর্জরিত, এই চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার ভাল উপায় হতে পারে ‘জাদু কি ঝাপ্পি’। ভাল ঘুমের জন্য আলিঙ্গনের উপর ভরসা রাখতে পারেন।
২) হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতেও আলিঙ্গন উপকারী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আলিঙ্গন করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, হৃদ্স্পন্দনের হারও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩) বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে এই অভ্যাস। অনেক সময়েই অকারণে মনখারাপ লাগে, তখন প্রিয়জনের একটি আলিঙ্গন আপনার মন ভাল করে দিতে পারে।
৪) আলিঙ্গন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৫) অনেক সময়ে অজানা কারণেই উদ্বেগ বাড়ে। ভয় কমাতেও সাহায্য করে এই অভ্যাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy