আলো নিবতে না নিবতেই পপকর্ন খাওয়ার শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে সিনেমা হল। ভুট্টার খই না খেলে যেন সিমেনা দেখাই বৃথা। ভাজাভুজির চাইতে স্বাস্থ্যকর। ভুট্টা খেলে অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেটও ভর্তি থাকে। তবে ভুট্টা খেতে রোজ তো সিনেমা হলে যাওয়া যায় না। বাড়িতে বা অফিসে বিকেল-সন্ধ্যায় অল্প খিদে পেলে, চায়ের সঙ্গে ‘টা’ হিসাবে ভুট্টা খাওয়াই যায়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ভুট্টার পুষ্টিগুণ কম নয়। ফাইবার, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ এই খাবার আর কী কী উপকারে লাগে?

১) ভুট্টার মধ্যে রয়েছে সহজপাচ্য ফাইবার। এই ফাইবার অন্ত্র থেকে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট শোষণ করে নিতে পারে। ফলে আচমকা রক্তে শর্করা বে়ড়ে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয় না।

২) ভুট্টাতে ক্যালোরির পরিমাণ কম। কিন্তু ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েটে ভুট্টা রাখাই যায়।

৩) রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে ভিটামিন সি-এর প্রয়োজন রয়েছে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ভুট্টায় এই ভিটামিনটি রয়েছে ভরপুর মাত্রায়। যা রোগ প্রতিরোধ ছাড়াও যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৪) ভুট্টায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা রক্তে থাকা ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল অর্থাৎ ‘এলডিএল’ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।

৫) ভুট্টায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। যে কোনও ধরনের সংক্রমণের সঙ্গে লড়তে, তাকে প্রতিহত করতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় এগুলো চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।