Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
tapeworm

Worms Remedy: ৫ খাবার যাতে ঘায়েল হবে কৃমি

কৃমি অন্ত্রে পুষ্টি উপাদানের পরিপাক ও শোষণে বাধার সৃষ্টি করে। বিশেষত শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায় এই সমস্যা।

কৃমি কমানোর সহজ উপায়

কৃমি কমানোর সহজ উপায় ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২২ ১৯:০৭
Share: Save:

কৃমি একটি ক্ষতিকর পরজীবী। মানুষের দেহে ফিতা কৃমি, গোল কৃমি কিংবা বক্র কৃমির মতো বিভিন্ন ধরনের কৃমি দেখা যায়। তবে এদের মধ্যে যে কৃমি অন্ত্রে পাওয়া যায়, তার সম্পর্কেই সবচেয়ে বেশি অবগত মানুষ। এই ধরনের কৃমি অন্ত্রে পুষ্টি উপাদানের পরিপাক ও শোষণে বাধার সৃষ্টি করে। বিশেষত শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায় এই কৃমি। দেখে নিন কোন কোন খাবার কমাতে পারে এর আশঙ্কা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

রসুন


রসুন একটি কৃমিনাশক খাবার। কাঁচা রসুনে থাকে অ্যান্থেলমিন্টিক উপাদান, যা পেটের কৃমি মেরে ফেলতে সহায়তা করে। এক সপ্তাহ প্রতি দিন সকালে খালি পেটে দু’কোয়া রসুন খেলে কৃমির সমস্যা থেকে উপশম মিলতে পারে। আধ কাপ জলে দু’টি রসুনের কোয়া দিয়ে সিদ্ধ করে এক সপ্তাহ নিয়মিত খেলেও উপকার পাবেন।

মধু ও কাঁচা পেঁপে

পেঁপের মধ্যে পরজীবী নাশক গুণ রয়েছে। আফ্রিকায় করা একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পেঁপের বীজও কৃমি হ্রাস করতে সহায়তা করে। মধু ও কাঁচা পেঁপে একসঙ্গে খেলে কমতে পারে কৃমি। যাঁরা সরাসরি খেতে পারেন না, তাঁরা একগ্লাস হালকা গরম দুধের সঙ্গে এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ কাঁচা পেঁপে কুড়ানো মিশিয়ে সকালবেলা খালি পেটে খেতে পারেন।

লবঙ্গ
অন্ত্রের কৃমি ডেকে আনতে পারে ক্ষুধামান্দ্য ও পেট ব্যথার সমস্যা। ঘরোয়া উপায়ে এর সমাধান করতে চাইলে এক কাপ জলে তিন-চারটি লবঙ্গ ফুটিয়ে সেই জল সারাদিন অল্প অল্প করে পান করতে পারেন। কারও কারও মতে লবঙ্গ কৃমি নষ্ট করার পাশাপাশি, কৃমির ডিমও নষ্ট করে।

মিষ্টি কুমড়োর বীজ

কুমড়োর বীজে রয়েছে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান, যা কৃমি ও প্যারাসাইট নাশ করতে বেশ কার্যকরী। কুমড়োর বীজ গুঁড়ো করে দুই চামচ গুঁড়ো তিন কাপ জলে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে এক সপ্তাহ খান। এ ছাড়া, নারকেলের দুধ কিংবা মধুর সঙ্গে কুমড়োর বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে খেলেও উপকার মিলতে পারে।

নিম পাতা

নিম পাতার জীবাণুনাশক গুণের কথা সকলেই জানেন। কিন্তু শুধু জীবাণুনাশক হিসাবে নয়, এটি কৃমি দূর করতেও সমান কার্যকরী। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস হালকা গরম জলে চা চামচের অর্ধেক চামচ নিমপাতা বাটা মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন। খেতে ভাল না লাগলেও এই পানীয় নিয়মিত পান করলে কৃমির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন দ্রুত।

তবে মনে রাখবেন সমস্যা যদি খুব বেড়ে যায়, তা হলে কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ না খেলে বিপদ বাড়তে পারে। কাজেই যদি খাদ্যাভাসের মধ্যে দিয়ে কৃমি প্রতিরোধ করা সম্ভব না হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।

অন্য বিষয়গুলি:

tapeworm Round worm Papaya
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE