মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ কী? ছবি: সংগৃহীত।
অর্ধেক ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত, দাঁতে ‘পোকা’ কিংবা মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার মতো সমস্যা থাকলে মুখে দুর্গন্ধ হওয়া স্বাভাবিক। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে ‘হ্যালিটোসিস’ বলা হয়। দিনে দু’বার নিয়ম করে দাঁত মাজার পরেও দুর্গন্ধ দূর হয় না। সুরাহা পেতে অনেকেই মাউথ ফ্রেশনার বা চিউইং গামের শরণ নেন। তবে সমস্যার উৎস না জানলে সমাধান খুঁজে পাওয়া মুশকিল। চিকিৎসকেরা বলছেন, মুখগহ্বরের ভিতর ব্যাক্টেরিয়ার উপদ্রব বেড়ে চলার নেপথ্যে আরও কয়েকটি কারণ রয়েছে। জেনে নিন সেগুলি কী।
মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার নেপথ্যে কী কী কারণ রয়েছে?
১) দাঁত এবং মুখগহ্বরের ঠিকমতো যত্ন নিতে পারলে মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার কথা নয়। তার জন্য দিনে দু’বার ব্রাশ করতেই হবে। প্রতি বার খাওয়ার পর ভাল করে মুখ ধুতে হবে। দাঁতের খাঁজে যাতে কোনও ভাবেই খাবারের টুকরো জমতে না পারে, সে দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি।
২) নিয়ম করে দাঁত মাজলেও জিভ পরিষ্কার করার কথা অনেক সময়ে খেয়াল থাকে না। অনেকে আবার এই বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চান না। জেনে রাখা ভাল, শুধু দাঁত নয়, ব্যাক্টেরিয়া কিন্তু জিভের উপরের স্তরেও বাসা বাঁধে। তাই দাঁত মাজার পাশাপাশি দিনে অন্তত দু’বার জিভ পরিষ্কার করাও জরুরি।
৩) চট করে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে অনেকেই চিউইং গাম চিবোন। মাউথ ফ্রেশনার হিসাবে কাজ করলেও আদতে তা মুখের ক্ষতিই করে। তার বদলে বরং মৌরি চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে। হজমের সমস্যা থেকেও অনেক সময়ে মুখে দুর্গন্ধ হয়। মৌরি খেলে এই ধরনের সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।
৪) সারা ক্ষণ মুখগহ্বর শুষ্ক থাকলে ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত হয়। যার ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তির সহজ উপায় হল পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া। মুখের ভিতরের পিএইচের সমতা বজায় রাখা।
৫) অতিরিক্ত ধূমপানের অভ্যাস থাকলেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। তামাকজাত পদার্থ থেকে যেমন দাঁতে দাগছোপ পড়ে, তেমন দুর্গন্ধও সৃষ্টি হয়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ধূমপান ছেড়ে দেওয়াই শ্রেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy