ছবি: সংগৃহীত।
বাইরে থাকলে দিনের বেশির ভাগ সময়েই ঠোঁটে লিপস্টিক থাকে। আবার, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময়ে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখতেও ভুলে যান অনেক সময়ে। তার ফলে ঠোঁট ফাটে। মরসুম বদলের সময়ে কারও কারও আবার ঠোঁটের দু’কোণেও চিড় ধরে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ধরনের সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ‘লিপ-লিকিং ডার্মাটাইটিস’ বলা হয়।
‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ উইমেন্স ডার্মাটোলজি’-তে বলা হয়েছে, বিষয়টি খুব সামান্য হলেও তা আদতে নয়। এই ধরনের প্রদাহজনিত সমস্যা সাধারণত বার বার জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটার ফলে শুরু হয়। ছোট্ট একটা জায়গা থেকে চট করে তা ছড়িয়ে পড়ে। হাসতে, কথা বলতে বা কিছু খেতে গেলেও ব্যথা করে। তেলমশলা লাগলেও জ্বালা-যন্ত্রণা হয়। তবে, ঘরোয়া উপায়ে তা খানিকটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
কোন উপায়ে ঠোঁটের ফাটা কোণে প্রলেপ দেওয়া যাবে?
১) ত্বক, ঠোঁটের শুষ্ক ভাব দূর করতে হলে আগে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে। তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া জরুরি।
২) কৃত্রিম বর্ণ-গন্ধ বিহীন লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকে ঠোঁট বাঁচাতে লিপ বামে ‘এসপিএফ’ দেওয়া থাকলে ভাল হয়।
৩) হাতের কাছে সব সময়ে লিপ বাম থাকে না। তাই ঠোঁট শুকিয়ে গেলে অভ্যাসবশত জিভ দিয়ে ঠোঁট চেটে ফেলেন। বার বার এই কাজটি করলে ঠোঁট ফাটার প্রবণতা বেড়ে যায়।
৪) ঠোঁটের ছাল বা মৃত কোষ টেনে তোলার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। ঠোঁট শুষ্ক হয়ে গেলে এই ধরনের সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে।
৫) ঠোঁটে ‘ম্যাট’ বা ‘লিকুইড’ লিপস্টিক মাখতেও পছন্দ করেন অনেকে। এই ধরনের প্রসাধনী অতিরিক্ত ব্যবহার করলে ঠোঁটের হাল ভাল থাকার কথা নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy