Advertisement
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Practicing Happiness

ভাল থাকা কঠিন নয়! মস্তিষ্ককে কী ভাবে প্রশিক্ষণ দিলে জীবনে বইবে আনন্দধারা?

মনোবিদেরা বলছেন, মানুষ কিন্তু অভ্যাসের দাস। মস্তিষ্ক এ ক্ষেত্রে অনেকটা রোবটের মতো কাজ করে। তাকে যা যা অভ্যাস করানো হয়, ও সেই ভাবে কাজ করে।

daily habits to train your brain for happiness

ভাল থাকার জন্য পাথর ভাঙার প্রয়োজন নেই। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫৪
Share: Save:

ভাল থাকতে পারা কিন্তু এক ধরনের শিল্প। যে শিল্প দৈনন্দিন কাজের মধ্যে দিয়েই রপ্ত করতে হয়। পেশা এবং ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে এই ‘ভাল থাকাটাই’ যেন কী ভাবে হারিয়ে যায়। বন্ধু, সহকর্মী কিংবা নিজের মধ্যেই কাজ নিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষা, প্রতিযোগিতা অহেতুক মনের চাপ বাড়িয়ে তোলে। মনের মধ্যে শিকড় ছড়াতে শুরু করে অবসাদ, উদ্বেগের মতো অবাঞ্ছিত জিনিস। তবে মনোবিদেরা বলছেন, মানুষ কিন্তু অভ্যাসের দাস। মস্তিষ্ক এ ক্ষেত্রে অনেকটা রোবটের মতো কাজ করে। তাকে যা যা অভ্যাস করানো হয়, ও সেই ভাবে কাজ করে। আনন্দে থাকার জন্য রোজের কিছু অভ্যাসে বদল আনা প্রয়োজন। কয়েকটা দিন টানা একই ভাবে এক নিয়মে মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষণ দিতে পারলে, জীবনে দুঃখ অনুপ্রবেশ করার সুযোগ পাবে না।

কী ভাবে নিজের মস্তিষ্ককে আনন্দে থাকার প্রশিক্ষণ দেবেন?

১) কৃতজ্ঞতা প্রকাশ:

জীবনে কী নেই কিংবা কী হলে কী ভাল হত— সে সব কথা না ভেবে যা পেয়েছেন তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকতে শেখাও কিন্তু এক ধরনের শিল্প। তাতে না পাওয়ার হাহুতাশ অনেকটা হলেও সামাল দেওয়া যায়।

২) ক্ষমাশীল হওয়া:

প্রতিশোধস্পৃহা বাড়তে দিলে আদতে কিন্তু ভাল থাকা যায় না। তাই ক্ষমাশীল হওয়া প্রয়োজন। খারাপ অনুভূতি বা স্মৃতি মনে রাখলে মনের ভার বেড়েই চলে। তাতে কিন্তু ভাল থাকা যায় না।

৩) ইতিবাচক ভাবনা:

ইতিবাচক চিন্তাভাবনাতেও মন ভাল থাকে। ইতিবাচক থাকার অভ্যাস কিন্তু এক দিনে রপ্ত করে ফেলা যায় না। নিজে নিজে অভ্যাস করতে হয়। জীবনে তেমন বন্ধুর সঙ্গ পেলেও নেতিবাচক ভাবনা হাতছানি এড়াতে পারবেন।

৪) মাইন্ডফুলনেস:

ইতিবাচক থাকার মতো ‘মাইন্ডফুলনেস’-ও এক ধরনের অভ্যাস। অতীত কিংবা ভবিষ্যতের কথা না ভেবে বর্তমানে যাপন করার অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে জীবনকে আষ্টেপৃষ্ঠে উপভোগ করতে পারবেন। ভাল-মন্দ যা-ই আসুক, সহজে তাকে গ্রহণ করতে পারবেন।

৫) শরীরচর্চা করা:

নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীর এবং মন দুই-ই ভাল থাকে। ইতিবাচক ভাবনার জন্য ‘হ্যাপি’ হরমোনের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। হরমোনের সমতা বজায় রাখতে পারলে নেতিবাচক ভাবনা দূরে রাখা যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Happiness Mental Health Brain Hacks Daily Habits
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE