Advertisement
০৬ অক্টোবর ২০২৪
Kidney Care

রোজের ৫ অভ্যাস: কিডনিতে সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে তুলছে

ছোটখাটো কিছু যত্নেই সুস্থ রাখা যায় কিডনিকে। কর্মব্যস্ততার কারণে অনেকেই আলাদা করে নিজের যত্ন নেওয়ার সুযোগ পান না। আর তাতেই বাড়ে বিপত্তি। জেনে নিন, কোন কোন অভ্যাস থেকে দূরে থাকলেই ভাল থাকবে আপনার কিডনি।

ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪ ০৯:০০
Share: Save:

কিডনির অসুখের সমস‍্যা ইদানীং বেড়ে গিয়েছে। কিডনিতে পাথর, জল জমে যাওয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। দৈনন্দিন জীবনের অনিয়ম কিডনির অসুখ ডেকে আনে। ক্রমাগত বাইরের খাবার খাওয়া, জল কম খেলে, তেল-মশলাজাতীয় খাবার খাওয়ার অভ‍্যাসে কিডনি খারাপ হতে থাকে। দীর্ঘ দিন সুস্থ থাকতে কিডনি ভাল না রাখলে চলবে না। কিডনির ভালমন্দের উপর নির্ভর করে সার্বিক সুস্থতা। কিডনি ভাল রাখতে নিজেকে যেমন কিছু নিয়মে বাঁধতে হবে। কর্মব্যস্ততার কারণে অনেকেই আলাদা করে নিজের যত্ন নেওয়ার সুযোগ পান না। আর তাতেই বাড়ে বিপত্তি। জেনে নিন, কোন কোন অভ্যাস থেকে দূরে থাকলেই ভাল থাকবে আপনার কিডনি।

১) পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। সাধারণত যে কোনও সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ৩-৪ লিটার জলের প্রয়োজন হয়। তাই শরীরের প্রয়োজন কতটুকু, সেই পরামর্শ নিয়ে রাখুন চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের কাছ থেকে। সেই অনুপাতে জল খান। শরীরে কোনও ক্রনিক অসুখ থাকলে জল খাওয়ার বিষয় নিয়ন্ত্রণ আনা জরুরি। সে ক্ষেত্রে জল বেশি খেলে কিন্তু কিডনির সমস্যা বাড়তে পারে।

২) কিডনিতে সংক্রমণের অন্যতম কারণ হল প্রস্রাব চেপে রাখা। সাধারণত রাস্তাঘাটে বা অনেক সময়ে বাড়িতে থাকলেও কাজের চাপের জন্য অনেকে প্রস্রাবের বেগ চেপে রাখেন। এই অভ্যাসের কারণে মূত্রনালিতে চাপ পড়ে, তাতেই ক্ষতি হয় কিডনির। বেশি ক্ষণ প্রস্রাব ধরে রাখার ফলে কিডনির শারীরবৃত্তীয় কাজ সারতে সমস্যা হয় ও দীর্ঘ সময় ধরে টক্সিন ধরে রাখায় শরীরে সংক্রমণ ঘটে।

৩) উচ্চমাত্রায় ডায়াবিটিস সরাসরি কিডনির ক্ষতি করে। তাই সব সময়ে চেষ্টা করুন ডায়াবিটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে। রক্তে শর্করার পরিমাণ কোনও ভাবেই বাড়তে দেওয়া যাবে না। কিডনি ভাল রাখতে ডায়াবিটিস প্রতিরোধ প্রয়োজন। এর জন্য রোজ নিয়ম করে হাঁটাহাঁটি, শরীরচর্চা আর খাবারে নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি।

৪) মুঠো মুঠো ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকে অনেকেরই। অতিরিক্ত মাত্রায় এই ধরনের ওষুধ কিন্তু কিডনির নানা সমস্যা তৈরি করে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ভাবেই কোনও রকম অ্যান্টিবায়োটিক বা বেদনানাশক ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।

৫) ওজন বেশি হয়ে গেলেও কিন্তু কিডনির উপর চাপ পড়ে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা কিন্তু ভীষণ জরুরি। রোজ ডায়েট ও শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার অভ্যাস শুরু করতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kidney Care Kidney Care Tips Kidneys Health care
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE