ছবি: প্রতীকী
কাজ থেকে ফিরে শরীরচর্চা করার শক্তি থাকে না। তাই ঘর অন্ধকার করে, চোখ বুজিয়ে কিছু ক্ষণ বসে থাকেন। হাতে-পায়ে ছটফটে, দুরন্ত বাচ্চাদের পড়াশোনায় একাগ্রতা আনার জন্যেও প্রতি দিন ধ্যান অভ্যাস করানোর পরামর্শ দেন মনোবিদেরা। এখন মুশকিল হল, অন্ধকার ঘরে এমন অভ্যাস করতে গিয়ে বেশির ভাগ মানুষই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। ঘুম পেয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। বাচ্চারাও বেশি ক্ষণ এক ভাবে বসে থাকতে পারে না। তাই অনেকে ভাবতে পারেন, এর চেয়ে ঘাম ঝরিয়ে শরীরচর্চা করাই বোধ হয় ভাল। তবে অভিজ্ঞরা বলছেন, ধ্যান মানে শুধু এক জায়গায় চুপ করে বসে থাকা নয়।
জাগতিক চিন্তাভাবনা দূরে সরিয়ে দুটি ভুরুর মাঝে যে ‘তৃতীয় নয়ন’ বা কাল্পনিক বিন্দু, তাকে জাগ্রত করার প্রচেষ্টা। সহজ কথায় বলতে গেলে চেতনার বিকাশ ঘটানো। যার দ্বারা মানুষের মন এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কপাল থেকে মেরুদণ্ডের একেবারে শেষ পর্যন্ত মানবদেহে মোট ৭টি চক্র আছে। এক একটি চক্রের সঙ্গে শরীর এবং মনের যোগ রয়েছে। ধ্যানের মাধ্যমেই সেই চক্রগুলিকে জাগ্রত করা সম্ভব বলে অনেকের বিশ্বাস। কিন্তু নিয়মিত ধ্যান করলে শরীর এবং মনে তার কেমন প্রভাব পড়ে তা জানেন?
১) মানসিক চাপ কমায়
বেশি নয়, নিয়মিত ১০ মিনিট ধ্যান করার অভ্যাস মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে সাহায্য করে। কর্মক্ষেত্র হোক বা ব্যক্তিগত জীবন— কেউ-ই একেবারে চাপমুক্ত থাকতে পারেন না। ধ্যান করলে স্ট্রেস হরমোন কর্টিজ়ল ক্ষরণের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
২) একাগ্রতা বাড়িয়ে তোলে
একসঙ্গে অনেক কাজ সামলাতে গেলে মানসিক ভাবে ধীর-স্থির হওয়া প্রয়োজন। যে কাজই করুন না কেন, তাতে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত ধ্যান করলে একাগ্রতা বে়ড়ে যায় বলেই মনে করেন অনেকে।
৩) আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে
পেশাগত জীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য রাখতে পারেন না অনেকেই। অল্পেতেই কখনও ভেঙে পড়েন, আবার কখনও আনন্দে দু’চোখ জলে ভরে ওঠে। এই প্রভাব কখনও কখনও কাজের উপরেও এসে পড়ে। ধ্যানের অভ্যাস করলে আবেগকে বশে রাখা যায়।
৪) ঘুমের জন্য ভাল
মন শান্ত না হলে ঘুম আসতে চায় না। মাথায় যদি সারা দিনের ব্যর্থতা বা সাফল্য ঘুরঘুর করতে থাকে, তবে ঘুম না আসাই স্বাভাবিক। তাই ঘুমোতে যাওয়ার আগে অন্তত মিনিট দশেক ধ্যান করার পরামর্শ দেন অভিজ্ঞরা।
৫) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
মানসিক চাপ, উদ্বেগ থেকে রক্তচাপ বেড়ে যায়। দীর্ঘ দিন ধরে অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ হার্টের নানা রকম জটিলতা ডেকে আনতে পারে। তবে নিয়মিত ধ্যানের অভ্যাসে মন অনেকটাই শান্ত থাকে। তাই উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করা যায় সহজে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy