শুধু শরীরচর্চা করলে হবে না। রীতিমতো মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কসরত করতে হবে। তবে হয়তো পেট, কোমর বা ঊরুর ‘মেদ সমুদ্র’ থেকে এক মগ জল তোলা হবে। কারও কারও ক্ষেত্রে হয়তো সেটুকুও হবে না। কম সময়ে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে তাই বেশি বেশি করে শরীরচর্চা করেন অনেকে। যার ফলে বেশি ঘাম ঝরে। কিন্তু এই গরমে অতিরিক্ত শরীরচর্চা করলে কাহিল হয়ে পড়তে পারেন। শরীর ডিহাইড্রেটেডও হয়ে পড়তে পারে। সেখান থেকেও শারীরিক নানান সমস্যা দেখা দেয়। তাই শরীরচর্চা করার আগে কিছু বিষয় জেনে রাখা জরুরি।
আরও পড়ুন:
অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?
১) শরীরচর্চা করার পর সাধারণত শরীর চনমনে হয়ে ওঠার কথা। কিন্তু অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে বরং উল্টোটাই হয়। তাই ক্লান্তি যদি একেবারেই কাটতে না চায়, তা হলে কসরত করার মাত্রা কমাতে হবে।
২) অতিরিক্ত ক্লান্তি থেকে শরীরচর্চায় অনীহা জন্মাতে পারে। সঠিক ভাবে শরীরচর্চা করতে না পারার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হতে পারে।
৩) গরমে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ এমনিতেই বেশি থাকে। তার উপর অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে আরও বেশি ঘাম হয়। ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় খনিজও বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরে ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন:
৪) শরীর তো আসলে এক ধরনের যন্ত্র। খুব বেশি চাপ পড়লে যন্ত্র যেমন উত্তপ্ত হয়ে যায়, তেমনই শরীরকে বেশি খাটালে দেহের তাপও বেড়ে যেতে পারে। এমনটা হলে কিন্তু হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৫) অতিরিক্ত শরীরচর্চা করলে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণের পরিমাণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত কর্টিসল আবার অনিদ্রাজনিত সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।