ঠাকুরের ঘট সাজানো ছাড়াও আমপাতার রয়েছে অনেক কাজ। ছবি: সংগৃহীত।
রোজ না হলেও প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুজোর আগে ঘটে আমপাতা থাকা চাই। কারণ, আম পাতা ছাড়া ঠাকুরের ঘট অসম্পূর্ণ। তবে, আমপাতার কিন্তু নানা রকম ঔষধি গুণও রয়েছে। আয়ুর্বেদে আমপাতা ব্যবহারের চল বহু পুরনো। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আমপাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। অনেক দেশেই আমপাতা কাঁচা এবং ভাজা খাওয়ার চল রয়েছে। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদানে সমৃদ্ধ আমপাতা রক্তে শকর্রার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম। প্রচুর পরিমাণে পেকটিন, ভিটামিন সি, ফাইবার সমৃদ্ধ আমপাতা ডায়াবিটিসের পাশাপাশি কোলেস্টেরলের জন্যও ভাল। ত্বক এবং চুলের যত্নেও আমপাতা ব্যবহার করা হয়।
নিয়মিত আমপাতা খেলে বা মাখলে কী উপকার হয়?
১) আমপাতার নির্যাস নিয়মিত খেলে বিপাকহার ভাল হয়। শরীরের প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এই পাতাটি।
২) দু’বেলা খাবার খাওয়ার আগে কচি আমপাতা ফোটানো জল খেলে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। তবে, অন্তঃসত্ত্বা এবং নতুন মায়েরা চিকিৎসকের পরমর্শ ছাড়া এই ধরনের পানীয় খাবেন না।
৩) ঠান্ডা-গরমে সর্দি-কাশি, গলাব্যথার সমস্যা লেগেই থাকে। আমপাতা পুড়িয়ে তার ঘ্রাণ নিলে কিন্তু গলাব্যথায় আরাম পাওয়া যায়। গলার ঘা নিরাময়েও সাহায্য করে এই টোটকা।
৪) গরমে ত্বকে নানা রকম সমস্যা হয়। অ্যালার্জি কিংবা ছত্রাকবাহিত কোনও সমস্যা হলে আমপাতা ফোটানো জলে স্নান করতে পারেন। ত্বকের ক্ষত সারাতে এই টোটকা বেশ কাজের।
৫) কচি আমপাতা বেটে মাথার ত্বকে মাখলে খুশকির সমস্যা দূর হয়। মাথার ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখতেও আমপাতা বেটে মাখা যায়। আমপাতা বেটে মাখলে কোলাজেন উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ে, যা শরীরে প্রোটিনের জোগান বাড়ায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy