পায়ে কখন ফুটে ওঠে রক্ত জালিকা? ছবি : সংগৃহীত
অনেক সময়ে পায়ের পিছন দিকে গাছের শিকড়ের মতো অজস্র জড়ানো পেঁচানো শিরা-উপশিরা ফুটে উঠতে দেখা যায়। দেহের অতিরিক্ত ওজন বইতে না পারলে, অনেক সময়ে পায়ের চামড়ার উপর রক্তবাহিকাগুলি ফুটে ওঠে। বিশেষত যাঁরা অনেক ক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করেন, তাঁদের সকলের পায়েই এই ধরনের রক্ত জালিকা দেখা যায়। মহিলাদের ক্ষেত্রে অনেক সময়ে ঋতুবন্ধের পর এবং গর্ভাবস্থায় এই লক্ষণ প্রকাশ পায়। এই ভাবে রক্ত জালিকা ফুটে উঠলে অনেক সময়ে জ্বালাভাব, চুলকানি বা শিরশিরানির মতো অনুভূতিও হয়। ডাক্তারি পরিভাষায় এই রোগকে ‘ভেরিকোস ভেনস’ বলা হয়।
দীর্ঘ দিন ধরে এ ভাবে পায়ে রক্ত জালিকাগুলি ফুটে উঠতে থাকলে অনেক সময়ে পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ানোই মুশকিল হয়ে পড়ে। সামান্য কাজের জন্য অন্য কারও উপর নির্ভর করতে হয়। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।
চিকিৎসকদের মতে, যাঁরা ট্রাফিক পুলিশ বা যাঁরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়ান, তাঁরা কেউই এই সমস্যা থেকে রেহাই পাননি। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা শুরু করলে চিন্তার কিছু থাকে না। কিন্তু পরিস্থিতি খুব জটিল হয়ে গেলে বা ব্যথা হলে ওষুধ খেতেই হয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুবন্ধ হওয়ার আগে থেকেই যদি সচেতনতা অবলম্বন করা যায়, ‘ভেরিকোস ভেনস’ নিয়ে বিশেষ চিন্তার কিছুই থাকে না। সন্তান জন্মের পর, নিয়ম মেনে একটু বিশ্রামে থাকলেই অন্তঃসত্ত্বারা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
এর থেকে মুক্তি পেতে হলে কোন কাজ করবেন না?
১) এক টানা অনেক ক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসে থাকবেন না। মাঝেমধ্যে হেঁটে আসুন। তাতে পায়ে রক্ত চলাচল ভাল হবে।
২) একান্ত উঠতে না পারলে, চেয়ারে বসে বসেই দু’টি পা সামনের দিকে সোজা করে তুলুন, আবার ভাঁজ করে নামিয়ে রাখুন।
এর থেকে মুক্তি পেতে কী কী করবেন?
১) আয়ুর্বেদিক তেল দিয়ে হালকা মালিশ করুন।
২) প্রতিদিন যোগাভ্যাস করুন।
৩) পায়ে চাপ পড়ে এমন কাজ করবেন না।
৪) হালকা গরম জলে প্রতিদিন পা ডুবিয়ে রাখুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy