এখনও সে ভাবে শীত আসেনি। তবে একটু একটু করে পারদপতন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে গলা খুসখুস, নাক সুড়সুড়, কাশি, হাঁচি এসে কড়া নেড়ে গিয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তুরে হাওয়া প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে রাতের দিকে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমবে। বাতাসে দূষণ এবং ভাইরাসের পরিমাণ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। ফলে যাঁদের অ্যালার্জি বা ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে কষ্ট আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে।
সুস্থ থাকতে গেলে এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন। আয়ুর্বেদ বলছে, এই কাজে সাহায্য করতে পারে লবঙ্গ। সকালে খালি পেটে লবঙ্গ ভেজানো জল খেলে কী কী হয় জেনে নিন।
আরও পড়ুন:
১) বাত, পিত্ত এবং কফের সমতা বজায় রাখে:
আয়ুর্বেদ বলে, সব রোগের মূলে হল বাত, পিত্ত এবং কফ দোষ। শরীরের তিন দোষের মধ্যে সমতা রাখতে না পারলে যেমন পেটের সমস্যা হয়, তেমনই নাক, গলা কিংবা ত্বক, চুলের স্বাস্থ্যও বিঘ্নিত হতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, লবঙ্গ ভেজানো জল খেলে বাত, পিত্ত এবং কফ— এই ত্রিদোষের মধ্যে ভারসাম্য থাকে।
২) হজমশক্তি উন্নত হয়:
সকালে খালি পেটে লবঙ্গ ভেজানো জল খেলে পরিপাক ভাল হয়। পাশাপাশি গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপার মতো সমস্যারও নিরাময় হয়। খাবার হজমে সহায়ক উৎসেচকগুলি ক্ষরণে সহায়তা করে।
৩) গলা-বুক জ্বালা কমায়:
লবঙ্গের নিজস্ব ঝাঁজ রয়েছে। প্রকৃতিগত ভাবেও এই মশলাটি গরম। কিন্তু গলা-বুক জ্বালার মতো সমস্যা নিরাময় করতে লবঙ্গ ভেজানো জলের জুড়ি নেই। শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করতেও এই পানীয়টি বেশ কাজের।
আরও পড়ুন:
৪) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে:
সকালে ঈষদুষ্ণ জলে লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। অনেকে আবার শসা, আদা, পুদিনা পাতা মেশানো ডিটক্স পানীয়ও খেয়ে থাকেন। তবে এর বদলে যদি লবঙ্গ ভেজানো জল খাওয়া যায়, তা হলে বিপাকহারের ‘পালে হাওয়া লাগে’। যা পরোক্ষ ভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৫) রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করে:
সাধারণ সর্দিকাশি, গলা খুসখুসে আরাম দেয় লবঙ্গ। এই মশলায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলি আসলে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল। মরসুম বদলের সময়ে এই টোটকা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জোরদার করে তুলতে সাহায্য করে।