মেয়েদের যৌন উত্তেজনা অনেকের কাছেই এখনও রহস্য। ছবি: সংগৃহীত
ছেলেদের যৌন অনুভূতি যতটা শারীরিক, মেয়েদের ততটা নয়। মিলনের মুহূর্তগুলি ভাল করে উপভোগ করার জন্য নাকি তাঁদের মানসিক ভাবেও তৃপ্ত হতে হয়। এই প্রচলিত ধারণা খুব মিথ্যে নয় ঠিকই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, মেয়েরা শারীরিক সুখ পান না। ছেলেরা যত সহজ ‘অর্গ্যাজম’ অনুভব করতে পারেন, মেয়েদের ক্ষেত্রে বিষয়টা অত সহজ নয়। অনেক পুরুষই হাজার চেষ্টা করেও মেয়েদের পুরোপুরি তৃপ্ত করতে পারেন না। কেউ কেউ অবশ্য তা নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামান না। আবার কেউ কেউ এটাকে ব্যক্তিগত হার হিসেবে নিয়ে ফেলেন। ফলে তাঁরা শারীরিক মিলনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন বা উদাসীন হয়ে পড়েন। এতে যে কোনও সম্পর্কেরই ক্ষতি হয়।
এমনটা বাঞ্ছনীয় নয়। যে কোনও সম্পর্কে মনের মিলের পাশাপাশি শারীরিক তৃপ্তিও যথেষ্ট জরুরি। তাই সুস্থ শারীরিক সম্পর্কের জন্য মেয়েদের শরীর বোঝাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নারী-শরীরের যৌন উত্তেজক অংশ কোনগুলি? যে কোনও পুরুষকে জিজ্ঞেস করলে তঁরা বলবেন, ঠোঁট, গলা, স্তন, নাভি এবং যোনি। হয়তো কেউ কেউ এর সঙ্গে যোগ করবেন নিতম্ব এবং ঊরুও। কিন্তু অনেকেই যা বলবেন না, তা হল যোনির উপরের একটি ছোট্ট অংশ যাকে ইংরেজিতে বলে ক্লিটোরিস। অনেকেই হয়তো জানেন না, মেয়েদের অর্গ্যাজমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ছোট্ট অংশটি। অনেকটা বুমেরাংয়ের মতো দেখতে এই ক্লিটোরিস আসলে তিনটি অংশে বিভক্ত।
যেটুকু বাইরে থেকে দেখা যায়, তার নাম ‘গ্লান্স’। এই অংশটি ছোট হলেও প্রচুর স্নায়ুতে ঠাসা। তাই যে কোনও স্পর্শেই অনুভূতি হয় অনেক বেশি। বেশির ভাগ মহিলা শুধু যোনির উত্তেজনায় চরমসুখ পান না। তার জন্য প্রয়োজন ক্লিটোরিসেও উত্তেজনা তৈরি করা।
ছোট না বড়— আকারে কি যায়-আসে
এমন ধরনের প্রশ্ন সাধারণত ছেলেদের যৌনাঙ্গ নিয়েই করা হয়। কিন্তু মেয়েদের ক্লিটোরিস কতটা বড় বা ছোট, এমন প্রশ্ন সচরাচর ওঠে না। তবে এই ক্লিটোরিসের তেমন কোনও নির্দিষ্ট আকার নেই। এটা ঠিক যে, এই অংশ যতটা ছোট হবে, তাতে কম স্নায়ু থাকবে, ফলে অনুভূতিও হয়তো কম হবে। যদি খুব ছোট হয় তা হলে যোনির চেয়ে ক্লিটোরিসের দূরত্ব অনেক বেড়ে যাবে। তাই দুইয়ের মিলিত যৌন উত্তেজনা অনুভব করতেও অসুবিধা হবে। সাত থেকে ১৩ সেন্টিমিটারের মধ্যে সাধারণত ক্লিটোরিসের আকার হতে পারে।
ছেলেদের যেমন যৌন উত্তেজনায় লিঙ্গোত্থান হয়ে থাকে, মেয়েদেরও উত্তেজনায় ক্লিটোরিসের আকার বড় হয়। অর্গ্যাজমের পর আবার ছোট হয়ে যায়। জন্মের পর থেকে মেয়েদের ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত ক্লিটোরিস আকারে বড় হয়। সাধারণত ৩২ বছর বয়সে এসে কৌশরের তুলনায় চার গুণ বড় হয়ে যায় এই অংশটি। ঋতুবন্ধের সময়ে ক্লিটোরিসের আকার জন্মের তুলনায় প্রায় সাত গুণ বড় থাকে।
‘জার্নাল অফ সেক্সুয়াল মেডিসিন’ এর তরফে ৩০ জন মহিলাকে নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়। তাঁদের গড় বয়স ৩২। দেখা যায়, তাঁদের মধ্যে যে মহিলাদের অর্গ্যাজম হতে অসুবিধা হয়, তাঁদের ক্লিটোরিস হয় ছোট কিংবা যোনির চাইতে অনেক দূরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy