ছবি : সংগৃহীত
পুজোর ক’টা দিন লুচি-ছোলার ডাল, পোলাও-মাংস থেকে চাউমিন, কবাব, বিরিয়ানি, বাদ যায়নি কিছুই। সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়েছে মিষ্টি, আইসক্রিমও। খাওয়ার সময়ে মেদ নিয়ে বিশেষ মাথা না ঘামালেও ক’দিন পর থেকেই শরীরের বাড়তি মেদ নিয়ে চিন্তায় পড়তে হয়। শুধু কি তাই? পেটের সমস্যা, গ্যাস, অম্বল, বদহজম, মুখের অবাঞ্ছিত ব্রণ— এ সবই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ ক্ষেত্রেও ভরসা সেই গুরুজনদের টোটকা। বেশি করে জল খাওয়া আর চারাপোনা মাছের পাতলা ঝোল-ভাত খাওয়া। ইদানীং যার একটা পোশাকী নামও হয়েছে ‘ডিটক্সিফিকেশন’। অতিরিক্ত টক্সিন বা বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বাইরে বার করে দেওয়ার প্রক্রিয়াই হল এই ‘ডিটক্সিফিকেশন’। হজমে সহায়ক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলিকে বিশ্রাম দিয়ে শরীরের দূষিত পদার্থ বার করাই এই ডায়েটের মূল লক্ষ্য।
কেমন হয় এ ধরনের ডায়েট?
জল, ফলের রস জাতীয় খাবারই বেশি থাকে এই ডায়েটে। বেশি পরিমাণে জল খেলে এমনিতেই শরীরের বর্জ্য সহজে বেরিয়ে যায়। তবে অনেকেই ডিটক্স ডায়েটে তিন-চার ঘণ্টা উপোস করে থাকেন।
পুষ্টিবিদদের একাংশ মনে করেন, একেবারে কিচ্ছু না খেয়ে থাকা ঠিক নয়। বরং অল্প ফলের রস, আনাজপাতিতে ভরসা রাখা যেতে পারে। শর্করা ও ফ্যাটজাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেওয়াই ভাল। তবে টানা বেশি দিন এই ডায়েট শরীরের জন্য ঠিক নয়। তাই পুজোর ক’দিন খুব বেশি পরিমাণে বাইরে খাওয়াদাওয়া হয়ে থাকলে সপ্তাহের সাতটি দিনের মধ্যে একটি দিন এই ডায়েটের শরণাপন্ন হতেই পারেন। কিন্তু যে দিন এই ডায়েট করবেন, সে দিন কোনও ভাবেই কায়িক পরিশ্রম করবেন না।
কী কী খাবেন?
১) ঘুম থেকে উঠেই খান ডাবের জল। অনেকে আবার উষ্ণ গরম জলে লেবু, মধু দিয়ে খান। তা-ও চলতে পারে।
২) কিছু ক্ষণ পর, এক চিমটে নুন এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে খেয়ে নিন লাউয়ের রস। শীতকাল হলে, লাউয়ের বদলে রাখতে পারেন পালং শাক বা লেটুস।
৩) ডিটক্স ডায়েট করছেন বলে খাবার না খেয়ে থাকলে কিন্তু চলবে না। ভাত, রুটি না খেয়ে স্মুদি খেতে পারেন। ডালের জল বা সব্জির স্যুপও খেতে পারেন।
৪) আপেল, পেয়ারা, নাসপাতি, তরমুজ, শসা, বেদানা, আনারস এবং লেবুজাতীয় ফল তালিকায় রাখতেই হবে।
৫) বিকেলে খেতে পারেন বিভিন্ন ধরনের বীজ।
৬) রাতের জন্য রাখুন তুলসী বা চিয়ার বীজ ভেজানো জল।
কী ভাবে তৈরি করবেন ডিটক্স ওয়াটার?
একটি কাচের পাত্রে কয়েক টুকরো শসা রাখুন।লেবুর টুকরো যোগ করুন।এ বার পুদিনা পাতা দিয়ে একটু লেবুর রস দিন।তার পর জল যোগ করুন এবং ভাল ভাবে মেশান।জারটি ফ্রিজে রাখুন। জল একটু ঠান্ডা হলে সারা দিনে কয়েক গ্লাস জল পান করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy